লকডাউনের মধ্যে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামী বাস চলাচল না করলে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেওয়া হবে না মর্মে ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিক’রা। গত শনিবার থেকে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল প্রতিহত করতে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পরিবহন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের এ বাধার মুখে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, ঈদ উদযাপন করতে আসা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ ঢাকায় ফেরার জন্য মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে ঢাকায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মডার্ন মোড় এলাকা অর্ধশতাধিক গাড়ি সেখানে জড় হয়ে জনপ্রতি তিনগুণ ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে– এমন খবর জানাজানি হলে ঐদিন সন্ধ্যা ৭টার সময় মোটর শ্রমিকরা এক জোট হয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাধা দেন। তারা যাত্রীদের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দেন। এ নিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ড্রাইভার-হেলপারদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও মারামারী হয়। এ সময় পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পুরো মডার্ন মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স মর্ডান মোড়ে গিয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরিবহন শ্রমিক নেতা মাহবুব অভিযোগ করেন, ‘সরকার লকডাউন ঘোষণা করে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে আমরা হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। এমনি অবস্থায় মাইক্রোবাস আর প্রাইভেট কার প্রকাশ্যেই তিনগুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলে রংপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করছে।’
এদিকে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের ড্রাইভার-হেলপাররা বলছেন, গাড়ি না চললে তারা বাঁচবেন কিভাবে?
তাজহাট থানার ওসি বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাস না চললে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারও চলবে না। এসব গাড়ি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে, সে কারণে আমরা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’