বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে সার্বিয়ায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
পরপর দুটি বন্দুক হামলার পর সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। সমালোচকেরা বলছেন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এমন সহিংসতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে দেশটিতে।
বেলগ্রেডে দুই দিনের বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১৮ জন নাগরিকের। শনিবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটিতে চলতি মাসের ৩ তারিখে একজন নিরাপত্তা প্রহরীসহ নয় জন শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করে এক কিশোর। ঘটনাটির এক দিন পরেই বেলগ্রেডে আট জনকে গুলি করে হত্যা করে ২১ বছরের এক ব্যক্তি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বেলগ্রেডে বন্দুক সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন দেশটির জনগণ।
মূলত দেশটির বিরোধী দলগুলো নেতৃত্ব দিচ্ছে আন্দোলনে। তাদের মতে, দেশটির সহিংসতা প্রচারকারী সংবাদমাধ্যমকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিকের সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি (এসএনএস)। এছাড়া অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যর্থতাকেও এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছদ্মনাম ভেরা ব্যবহার করে বলেন, ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি আমি। বিভিন্ন বক্তৃতায়, মিডিয়ায় ঢালাওভাবে প্রকাশ্যে সহিংসতা প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। যেভাবে দেশ চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।’
সম্প্রতি দেশটির টেলিভিশনে খুনিসহ বিভিন্ন অপরাধীদের নিয়ে রিয়েলিটি শো করা হয়। এছাড়া পুরুষেরা নারীদের মারধর করছেন, এমন ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এসব ঘটনা দেশটির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আরও উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট ভুসিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিস্লাভ গাসিক ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা।
চলতি মাসে দেশটিতে এটি তৃতীয় বড় বিক্ষোভ যেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্র: রয়টার্স