নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিহত এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার উপজেলার মাঝেরচর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও সংঘর্ষে অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম ফায়েজ উল্লাহ (৩৫)। তিনি মাঝেরচর গ্রামের জরুন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম মিয়ার সর্মথক ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হযরত আলীর সর্মথকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। ঈদের পর এক বৈঠকে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে আজ উভয় গ্রুপ টেঁটা নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। টেঁটার আঘাতে ফায়েজ উল্লাহ গুরুতর আহত হলে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক জানান, টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় আনা লোকটিকে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হক শাহ মিয়া, আসাদ মিয়া, বিল্লাল মিয়া ও মস্তো মিয়াসহ টেঁটাবিদ্ধ ৩ জনকে মুর্মূষু অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।