যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঋণ-খেলাপি হলে কি বিশ্ব অর্থনীতিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখন এমন চরম অচলাবস্থার মধ্যে আটকে আছে, যা কেবল তাদের জন্য নয়, বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই এক মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের জন্য ঋণের যে সর্বোচ্চ সীমা (ডেট সিলিং) বেঁধে দেয়া আছে, সেটি আরও বাড়ানো হবে কিনা- তা নিয়ে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান- দু’পক্ষই যার যার অবস্থানে অনড়।
যদি এই অচলাবস্থার কোন সমাধান না হয়, তাহলে এর জন্য বিশ্ব অর্থনীতিকে হয়তো এ যাবতকালের সবচেয়ে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানরা যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আরও অর্থ ধার করতে দিতে রাজী না হয়, বা তাদের ভাষায়- ঋণের সর্বোচ্চ সীমা (ডেট সিলিং) না বাড়ায়, তাহলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ তাদের ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণ খেলাপি হবে।
এরকম সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আগামী ১লা জুনের মধ্যে যেভাবেই হোক এই অচলাবস্থার নিরসন করতে হবে।
যদি তা না হয়, ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এর পরিণতি হবে মারাত্মক বিধ্বংসী।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঋণ-খেলাপি হলে এর কী প্রভাব পড়বে মার্কিন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে? এতে গোটা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের ওপরই বা কী প্রভাব পড়বে?
‘ডেট সিলিং’ বা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কী?
শুরুতে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন করে নির্দিষ্ট করা আছে, সরকার সর্বোচ্চ কী পরিমাণ অর্থ ধার করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যয়ের বড় খাতগুলো হচ্ছে ফেডারেল সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সামরিক ব্যয়, সোশ্যাল সিকিউরিটি, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। এর সঙ্গে আছে সরকারের জাতীয় ঋণের কিস্তি এবং এর সুদ পরিশোধ এবং ট্যাক্স রিফান্ড ইত্যাদি।
গত বেশ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে, কারণ সরকার আসলে যা আয় করছে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করছে।
ঋণ করার সর্বোচ্চ সীমা এখন বেঁধে দেয়া আছে ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণ এই সীমায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় অন্য কিছু উপায়ে সরকারকে বাড়তি অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়ালেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি সরকার আরও অর্থ ধার করতে না পারে, তাহলে ১লা জুনের মধ্যেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে য, সরকার হয়তো আর তার ধার-দেনা-দায় পরিশোধ করতে পারবে না।
অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে
প্রথমেই বলে নেয়া ভালো, বিবিসি যত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে, তারা কেউই মনে করেন না যে, যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হবে।
কিন্তু যদি ঋণ-খেলাপি হয়, তখন কী?
একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ‘প্যানমিউর গর্ডনের’ প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন ফ্রেঞ্চের ভাষায়, যদি এরকম কিছু আসলেই ঘটে, তখন এই বিপর্যয়ের তুলনায় ২০০৮ সালের বিশ্ব ব্যাংকিং এবং আর্থিক সংকটকে এক সামান্য বিষয় বলে মনে হবে। পনের বছর আগে ২০০৮ সালের ঐ সংকটের সময় বিশ্বের বড় বড় বহু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক মন্দা দেখা দিয়েছিল।
যদি যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো না হয়, তখন সরকার আর নতুন করে অর্থ ধার করতে পারবে না। এর ফলে দ্রুত সরকারের হাতে অর্থ ফুরিয়ে যাবে, তারা আর দায়-দেনা পরিশোধ করতে পারবে না, জনগণকে যেসব সুযোগ-সুবিধা-সেবা দিতে হয়, সেগুলোও অব্যাহত রাখতে পারবে না।
“তখন সরকার বাধ্য হবে জনগণকে কল্যাণ ভাতা এবং যেসব অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়, যে সাহায্য দেয়, তা বন্ধ করতে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে, মানুষ তাদের ব্যয় মেটাতে পারবে না। আর পরিণামে মার্কিন অর্থনীতিতে এর ধাক্কা লাগবে,” বলছেন এ জে বেল বলে একটি প্রতিষ্ঠানের ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর রাস মোল্ড।
হোয়াইট হাউসের ‘কাউন্সিল অব ইকোনোমিক এডভাইজার্স’ হিসেব করে দেখেছে, সরকার যদি একটা দীর্ঘসময় পর্যন্ত ঋণের সীমার ব্যাপারে কোন সমাধানে পৌঁছাতে না পারে, মার্কিন অর্থনীতি ৬ দশমিক এক শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন্স কলেজের প্রেসিডেন্ট এবং নামকরা অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আল-এরিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ঋণ-খেলাপি হয়, তখন পুরো মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে।
এর প্রভাব গিয়ে পড়বে বাকী বিশ্বে। যেমন যুক্তরাজ্যে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিপুল ব্যবসা-বাণিজ্য করে।
“যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে সব দেশের সঙ্গেই ব্যবসা-বাণিজ্য বড় অংশীদার। মন্দায় পড়লে তারা বাকী বিশ্ব থেকে জিনিসপত্রও কিনবে অনেক কম”, বলছেন মি. আল-এরিয়ান। তবে তিনি মনে করেন না, মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলে সেটি ব্রিটিশ অর্থনীতিকেও থমকে দেবে।
মি. ফ্রেঞ্চ অবশ্য এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেন। তার মতে, মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা মানে হচ্ছে ব্রিটিশ অর্থনীতিও নিশ্চিতভাবেই মন্দায় পড়বে।
বাড়ি কেনার ঋণের খরচ বাড়বে
যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হওয়ার মানে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যেই মন্দা নয়, এর প্রভাব পড়বে বাড়ি কেনার ঋণ হতে শুরু করে আরও অনেক কিছুর ওপর।
মি. ফ্রেঞ্চ বলেন, যুক্তরাজ্যে এর ফলে বাড়ি কেনার ঋণের খরচ বেড়ে যাবে, বাড়বে বেকারত্ব।
“এটি হবে রীতিমত এক প্রলয়-কাণ্ড”, বলছেন তিনি।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির একটি সমস্যার কারণে যুক্তরাজ্যে কেন বাড়ি কেনার ঋণের খরচ বাড়বে?
যখন কোন সরকার অর্থ ধার করতে চায়, তারা বন্ড বিক্রি করে। যুক্তরাষ্ট্রে এই বন্ডের নাম ‘ট্রেজারি বন্ড’, আর যুক্তরাজ্যে এরকম বন্ডকে বলা হয়, ‘গিল্ট’। একজন বিনিয়োগকারী যখন সরকারের কাছ থেকে এরকম বন্ড বা গিল্ট কেনেন, তখন তিনি বিনিয়োগ করা অর্থের জন্য সরকারের কাছ থেকে সুদ পান।
“কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার ঋণ পরিশোধ না করে বা এমনকি সুদের অর্থও পরিশোধ না করে, তখন বিনিয়োগকারীরা ভাববে, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঋণ-খেলাপি হতে পারে, তাহলে যুক্তরাজ্যের সরকারও যে হবে না, তার কোন নিশ্চয়তা নেই”, বলছেন মি. ফ্রেঞ্চ।
তখন বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাজ্যে সরকারী বন্ড কেনার জন্য আরও বেশি সুদ দাবি করবে।
“যে কোন ঋণের সুদের হার নির্ধারিত হয় এই ঋণ দেয়ার ঝুঁকি কতটা তার উপর ভিত্তি করে, সেটি বাড়ি কেনার জন্য দেয়া ঋণই হোক, বা সরকারের ধার করা ঋণই হোক। কাজেই যখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যখন ঋণ-খেলাপি হবে সেটা বিরাট বড় এক ঝুঁকির ঘটনা, এবং তখন রাতারাতি সব ধরণের ঋণের সুদের হার কিন্তু অনেক বেড়ে যাবে,” বলছেন তিনি।
জিনিসপত্রের দাম বাড়বে
মার্কিন ডলার হচ্ছে গোটা বিশ্বের জন্য রিজার্ভ মুদ্রা।
এর মানে হচ্ছে, সারা বিশ্বে যত ধরণের পণ্যের লেন-দেন হয়, যেমন জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে গম- সবকিছুর দাম কিন্তু নির্ধারিত হয় ডলারে।
যদি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঋণ খেলাপি হয়, সাথে সাথে ডলারের দাম নাটকীয়ভাবে পড়ে যাবে।
মনে হতে পারে, এটা তো বাকী বিশ্বের জন্য ভালো খবর। কিন্তু মি. ফ্রেঞ্চ বলছেন, “এর মানে হচ্ছে, যারা বিশ্বে পণ্যের বাজারে বিনিয়োগ করে, তারা তখন জানবে না, কীভাবে তাদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।”
“যখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এভাবে ঋণ-খেলাপি হবে, তখন কিন্তু হঠাৎ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতংক তৈরি হবে। তারা প্রশ্ন করতে শুরু করবে, এরপর কি জাপান? যুক্তরাজ্যেও কি একই ঘটনা ঘটবে? তারপর কি জার্মানি? এরপর আর কারা ঋণ-খেলাপি হবে”, বলছেন তিনি।
“তখন আমাদেরকে হঠাৎ সবকিছুর দাম নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে। অর্থনীতির পরিভাষায়, এর নাম ‘রিস্ক প্রিমিয়াম’, অর্থাৎ বাড়তি ঝুঁকি। তখন সব কিছুর দামের মধ্যে এই বাড়তি ঝুঁকির খরচ যুক্ত হবে। কাজেই রুটির দাম পর্যন্ত বেড়ে যাবে।”
যদি খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি তেল, সবকিছুর দাম বেড়ে যায়, তখন কোটি কোটি মানুষের জীবনধারণের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে।
পেনশন কমে যাবে
বিশ্বের শেয়ার বাজারের ৬০ শতাংশ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে, বলছেন মি. মোল্ড।
“কাজেই পেনশন তহবিলের যে অর্থ মার্কিন শেয়ারে বিনিয়োগ করা আছে, সেগুলো কিন্তু ঝুঁকিতে পড়বে। লোকে হয়তো জানেই না যে তাদের পেনশনের অর্থ সেখানে বিনিয়োগ করা”, বলছেন তিনি।
আর যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হলে শেয়ার বাজারে তার বাজে প্রতিক্রিয়া হবেই। তবে সবকিছুই দুঃসংবাদ বলে ধরে নেয়া ঠিক হবে না।
২০১১ সালেও ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানরা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নিয়ে এরকম অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন, সেই অচলাবস্থার নিরসন হয়েছিল ঋণ-খেলাপি হওয়ার সময়সীমা ঘনিয়ে আসার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে।
তখন মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। তবে এই আতংক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, নাটকীয়ভাবে পড়ে যাওয়া শেয়ার বাজার আবার পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
মি. মোল্ড মনে করছেন, এবারেও হয়তো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
তিনি বলেন, “তবে এই মূহুর্তে যারা পেনশনের টাকা তুলছেন, তাদের ওপর এর প্রভাব পড়বে। কিন্তু যারা তাদের পেনশনের অর্থ নেয়া শুরু করবেন আরও পরে, তাদের বেলায় শেয়ার বাজারের এই পতনের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য হয়তো সময় পাওয়া যাবে।”
যুক্তরাষ্ট্রে এটি কেন এত বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো?
যুক্তরাষ্ট্রে ডেট সিলিং এর বিষয়টি প্রথম চালু করা হয় ১৯১৭ সালে। তখন এর লক্ষ্য ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সরকারকে অর্থ ধার করার জন্য অনেক বেশি সুযোগ দেয়া।
কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মেরুকরণ তীব্র হয়ে উঠার পর ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নিয়ে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে মারাত্মক বিভেদ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঋণের পরিমাণও বাড়ছে, গত এক দশকে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এর কারণও আছে। প্রথম কারণ হচ্ছে, ২০০৮ সালের আর্থিক এবং ব্যাংকিং সংকট। এরপর সরকারকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল। আর করোনাভাইরাস মহামারির পরও আবার সরকারকে বিপুল অর্থ ঢালতে হয়েছে মানুষকে অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে রক্ষা করতে। তবে এটাও একটা বাস্তবতা যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ২০০১ সাল হতে ক্রমাগত ঘাটতির মধ্যে আছে, যত অর্থ সরকার আয় করছে, ব্যয় করছে তার বেশি। ফলে সরকারকে আরও বেশি অর্থ ধার করতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত রিপাবলিকানরা ছোট আকারের সরকারের পক্ষে, তারা সরকারী ব্যয় টেনে ধরার পক্ষপাতী। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা জনকল্যাণমূলক খাতে বেশি ব্যয়ের পক্ষপাতী।
কাজেই যখন কোন সরকার এরকম ঋণের সর্বোচ্চ সীমা আরও বাড়ানোর বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে, তখন দু্ই পক্ষই এই বিষয়টিকে নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে দরকষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
২০১১ সালে ঋণের সীমা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের নিরসন তখনই হয়েছিল, যখন প্রেসিডেন্ট ওবামা সরকারী ব্যয় নয়শো বিলিয়ন ডলার কমাতে রাজী হয়েছিলেন। তখন কংগ্রেস সরকারী ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ঠিক সেই পরিমাণে বাড়িয়েছিল।
এবারও কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা একইভাবে সরকারের ব্যয় কমানোর দাবি জানাচ্ছে, আর ডেমোক্রেটরা তাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি