চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের দুর্গম দুলশী গ্রামের বিরল একটি প্রাচীন বৃক্ষ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বৃক্ষের সঠিক পরিচয় বা বয়স জানেন না কেউ। প্রবীনদের কারো কারো মতে দুই অথবা তিন’শ বছরের বেশী সময় আগে অচিন এই বৃক্ষটির জন্ম হয়েছে। সমান্তরাল ভূমি থেকে একটু উঁচুতে এই বৃক্ষ যেন পাহাড়ের ওপর ঠাঁই দাঁড়িয়ে ডানা মেলে রয়েছে। সম্প্রতিকালে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ‘আম্পান’ ঝড়ও প্রবীন এই অচিন বৃক্ষকে নড়াতে পারেনি। প্রাচীনতম এই বৃক্ষ দেশের অন্য কোথাও আছে কিনা স্থানীয়দের কারো জানা নেই। অচিন এই বৃক্ষে ফলে হলদে রঙের ফল, খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু।
স্থানীয়রা জানায়, হলুদ রঙের এই ফলটি খেতে মিষ্ট ও সুস্বাদু। এর স্বাদ ক্ষীর তুল্য। ফলের ভেতরে ছোট বিচি রয়েছে। কিন্তু বিচি থেকে কোন চারা গজায়না। ফলে জন্ম নেয়ার পর থেকে একাই কয়েক শত বছর ধরে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বৃক্ষটি। সম্প্রতি এক প্রবাসী গবেষক এই বৃক্ষকে ‘সফেদা’ প্রজাতির বলে মন্তব্য করেছেন। দেশের ৫ থেকে ৬টি এলাকায় এই বৃক্ষ রয়েছে। এই বৃক্ষ এলাকার মানুষদের প্রশান্তি দিয়ে চলেছে দীর্ঘকাল ধরে।
এই বৃক্ষের নিচে বসে অনেকেই প্রশান্তির নির্মল বাতাস উপভোগ করতে ছুটে আসেন এখানে। বৃক্ষের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া শেকড়ের ওপর শুয়ে বসে সময় কাটান পথিক সহ স্থানীয়রা। কৃষি ও বনবিভাগসহ উদ্ভিদ প্রেমিক বা বৃক্ষ গবেষকদের কেউ প্রাচীনতম এই বৃক্ষ নিয়ে কখনও মাথা ঘামাতে চাননি।
তবে নাটোরের সাবেক জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন এই বৃক্ষের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। এই বৃক্ষ নিয়ে গবেষনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। এই বৃক্ষের টানে বেশ কয়েকবার এই এলাকায় পরিদর্শন করেন শাহিনাখাতুন। স্থানীয়রা এই গাছকে ‘খিরির গাছ’ বলেই জানেন। তবে সম্প্রতি গবেষক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পর্যটক আগমনের কারণে স্থানীয়রা বিরল প্রজাতির প্রাচীন এই গাছ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। গাছটির চারা তৈরি ও সংরক্ষনসহ এলাকার উন্নয়ন হবে এমন প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।
নাটোর জেলা সদর থেকে প্রায় ৫১ কিলোমিটার দূরে বগুড়া জেলার সীমান্ত নন্দিগ্রাম উপজেলার রনবাঘা হাট পেরিয়ে যেতে হয় দুর্গম এই দুলশী গ্রামে। সিংড়া উপজেলার ১ নং সুকাশ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম দুলশী। এই গ্রামে প্রবেশ মুখেই সমান্তরাল ভুমি থেকে পাহাড়ের মত প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে কালের সাক্ষী হয়ে ডানা মেলে দাঁড়িয়ে আসে প্রাচীন এই অচিন বৃক্ষ। গোড়া থেকে গাছটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। চারিদিকের আয়তন প্রায় ১৫০ স্কয়ার ফুট। এই বৃক্ষের গোড়া থেকে প্রকৃতিগতভাবে অসাধারণ কারুকাজ সজ্জিত শেকড় বহন করছে।
যা প্রাচীন যুগের সাক্ষী হিসেবে বহন করছে। এই বৃক্ষের শেকড়ের ওপর বসে পথিক কিছু সময় প্রকৃতির নির্মল বাতাসে প্রশান্তি নিয়ে গন্তব্যে ফিরে যান। অনেক দুর দুরান্ত থেকে এখন দর্শনার্থীরাও এখন এই বৃক্ষ দেখতে আসছেন। বাংলার জৈষ্ঠ মাসে এই বৃক্ষে ফল ধরে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষ এর ফল খান। দেখতে অনেকটা ছোট জলপাই আকৃতির এবং পাকলে তা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। দুধের তৈরি ক্ষীরের যেমন স্বাদ হয়, এই ফলের স্বাদও তেমনি বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয়রা তাই এই বৃক্ষের নাম দিয়েছেন ‘খিরির (ক্ষীর) গাছ’।
জেলা বন বিভাগ জানে না গাছটি সঠিক কোন গোত্রের, কোন জাতের। গাছটির ইংরেজি বা বৈজ্ঞানিক কোন নাম পাওয়া যায়নি। নরওয়ে প্রবাসী এক বৃক্ষ প্রেমী নাটোরের এই গাছটি সবচেয়ে প্রাচীন বলে মন্তব্য করলেও গাছটির সঠিক নাম জানাননি। তবে গাছটি ‘সফেদা জাতের’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃক্ষটি ‘মানিক বৃক্ষ’ নামে একটি নামফলক দিয়েছে।
সাবেক জেলা প্রশাসক ও কবি শাহিনা খাতুনের হাঁটার গান কাব্যগ্রন্থর “বলতে চাইনা” কবিতার শেষাংশেও এই ‘খিরির’ গাছের কথা উল্লেখ রয়েছে।
কবি শাহিনা খাতুনের কবিতার শেষাংশে উল্লেখ রয়েছে-
“একটা চারাগাছ জন্মেছে দেখেছো কি!
একটু জল ঢেলে দিও
একটা “খিরির” গাছ হয়ে যাবে
একদিন এসে খিরির গাছের ছায়ায় বসে যেও
আমার স্বপ্ন দেখে যেও”।
স্থানীয়রা জানান, প্রাচীন এই বৃক্ষ নিয়ে নানা রকম গল্প প্রচলিত রয়েছে। এলাকাবাসীসহ আশেপাশের মানুষদের বিশ্বাসের একটি বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে এই খিরির গাছ। আবুল কালাম ও লাইলী বেগম জানান, বহু বছর আগে এক ব্যক্তি এই গাছটি কেটে ফেলার উদ্দোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্দোগ নেয়ার দু’দিনের মাথায় আব্দুল হক নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। তখন থেকেই এলাকার মানুষ এই গাছটির ওপর একটি বিশ্বাস স্থাপন করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই বৃক্ষটি পরিদর্শন করতে আসেন। অনেকেই এখানে এসে শিরনি রান্না করে বিতরণ করেন।
সত্তোরর্ধ বয়সী মোকছেদ আলী জানান, এই গাছ তিনি শিশু কালে যে অবস্থায় দেখেছেন, এখনও তাই দেখছেন। গাছটি ঠিক কত বছর আগে জন্ম হয়েছে তার দাদাও তাকে বলতে পারেনি। গাছটিতে ফল ধরে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। জৈষ্ঠ মাসে এই ফল পাকে। সব বয়সের মানুষ এই ফল খান। আগুরের মতন দেখতে এবং পাকলে তা অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে খেতে। খির রান্না করলে যেমন সাদ হয় তেমন লাগে।
আব্দুর রহিম বলেন, এই গাছের ফল খিরের মত সাদ হয় বলে স্থানীয়ভাবে সবাই গাছটিকে খিরের গাছ বলেই জানে। এই ফলের বিচি মাটিতে পড়ে থাকলেও কোন চারা বা গাছ জন্মায়না। এই গাছের পাশেই রয়েছে ৫৪ বিঘা আয়তনের একটি বিশাল পুকুর বা জলাশয়। এই পুকুরটিরও গভীরতা অনেক। এই পুকুর থেকে মাটি তুলে খিরির গাছের গোড়ায় দেয়া হয়েছে। এখানকার এই প্রাচীন বৃক্ষের চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে বৃক্ষটির রক্ষার দাবী দীর্ঘদিনের।
সরকারী কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই এই এলাকাকে সৈন্দর্য্য বর্ধনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন অগ্রগতি নেই। তবে সম্প্রতিকালে জেলা পুলিশের উদ্দোগে ‘বৃক্ষ মানিক’ নামকরণ করে বৃক্ষের পাশে একটি নামফলক দিয়েছে। নাম ফলকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এলাকাটিকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুন্দর করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতিরও অগ্রগতি নেই বলে জানালেন তিনি।
প্রাচীন এই অচিন বৃক্ষের ফলের বিচি থেকেও হয়না কোন চারা বা গাছ। ফলে বিরল এই বৃক্ষের প্রজনন হয়নি দীর্ঘকাল ধরে। বর্তমানে এই বৃক্ষকে ঘিরে শুরু হয়েছে নান গুঞ্জন। পাহাড়ের টিলার মত ওপরি ভাগে গড়ে ওঠা প্রাচীন এই বৃক্ষের এক পাশে রয়েছে বিশাল আয়তনের একটি জলাশয় বা পুকুর। যেখান থেকে বিপুল পরিমানের মাছ উৎপাদন হয়। প্রাচীন এই বৃক্ষ সংরক্ষন ও চারা তৈরি করা সহ এলাকাটিকে পর্যটন স্পট করার দাবী এলাকাবাসীর।
নাটোর বন বিভাগের ফরেষ্টার সত্যেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, অচিন এই প্রাচিন বৃক্ষটি সম্পর্কে কোন তথ্য আমাদের জানা নেই। আমরা এই গাছটিকে অচিন গাছ হিসেবেই জানি। তবে এই গাছটির পাতা এবং ডাল সহ বিস্তারিত তথ্য আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে গবেষণার আবেদন জানিয়ে। এছাড়া বৃক্ষটির চারিদিকে রির্টেনিং ওয়াল নির্মানের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বিরল প্রাচীন এই বৃক্ষের বংশ বিস্তারের জন্য স্থানীয়ভাবে চারা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বৃক্ষটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের বন বিভাগের নজরদারি রয়েছে।
দুলশী আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম মওলানা আনিসুর রহমান বলেন, এক সময় এই প্রাচীন বৃক্ষের প্রতি কারো নজর ছিল না। নাটোরের সাবেক জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন এখানে এসে এই প্রাচীন বৃক্ষের খোঁজ খবর নিয়ে এর উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে অনেকেই এখানে আসতে শুরু করেছেন। প্রাচীনতম এই অচিন বৃক্ষ এলাকাটিকে ইতিহাসের অংশ করে রেখেছে। এর প্রকৃত বয়স বলতে পারেনি কেউ। প্রায় ১৫ শতক জমি নিয়ে এই বৃক্ষটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে তিন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সবাই এক সাথে এই বৃক্ষের নিচে বসে প্রকৃতির নির্মল বাতাস উপভোগ করেন।
গভীর রাত অবদি অনেকেই বসে সময় কাটান। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আদর্শ গ্রাম। একটি বিশাল জলাশয় এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হয়ে আছে। সবচেয়ে বড় বিষয় বৃক্ষটি ফল দিলেও এর বংশ বিস্তার নেই। ফলের বিচি মাটিতে পড়ে থাকলেও কোন চারা গজায়না। ফলে এই বৃক্ষই কালের সাক্ষী হয়ে আছে। সাবেক ডিসি সাহিনা খাতুন এই বৃক্ষটি নংরক্ষনসহ এলাকার উন্নয়নে কিছু বরাদ্দ দিয়েছিলেন, যার কাজও শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তা থমকে রয়েছে। এখন প্রায় প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী এখানে আসছেন। এলাকাটিকে এখন অনেকেই অচিন বৃক্ষ এলাকা হিসেবেই চেনে।
নরওয়ে প্রবাসী বৃক্ষ প্রেমী ভায়লেট হালদার বলেন, এটি ‘সফেদা’ প্রজাতির একটি বৃক্ষ বলে মনে হয়। বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কয়টা জায়গাতে এই বৃক্ষ আছে সবগুলো বৃক্ষের নিচে অথবা আশে পাশে মাজার রয়েছে, তাতে ধারণা করা হয় ইয়েমেন থেকে আশা সুফি মতবাদ এর অনুসারীরা ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে আসার সময় এই প্রজাতির বৃক্ষের চারা নিয়ে এসেছিলেন।এর মধ্যে নাটোরের সিংড়ার দুলশী গ্রামের এই বৃক্ষটিই দেশের প্রাচীনতম বৃক্ষ বলে তিনি মনে করেন।
চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, সিংড়ার এই প্রাচীনতম অচিন বৃক্ষ সংরক্ষনের জন্য স্থানীয় বন বা কৃষি বিভাগের কোন উদ্দোগ নেই। কয়েকশ বছর আগে প্রকৃতিগতভাবে জন্ম নেয়া এই অচিন বৃক্ষ সংরক্ষন করে এলাকাটিকে সৌন্দয্য বর্ধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানান তিনি।
সাংস্কৃতিক কর্মী ও বৃক্ষ প্রেমিক খন্দকার মাহাবুবুর রহমান বলেন, দুর্গম দুলশী গ্রামের এই প্রাচীন বৃক্ষটি এলাকাটিকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে। এলাকার জীববৈচিত্র বহাল রাখতে এই প্রাচীনতম অচিন বৃক্ষটিকে সংরক্ষন ও প্রজননের উদ্দগ নেয়ার আবেদন জানান তিনি।
সিংড়া গোল-ই-আফরোজ কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অঞ্চল চলনবিলের আরও এক ইতিহাস দুলশী গ্রামের প্রাচীনতম ‘অচিন বৃক্ষ’ দ্রুত সংরক্ষন করা প্রয়োজন। এছাড়া এর বংশ বিস্তারেরও উদ্দোগ নিতে হবে। অন্যথায় এমন বিরল প্রজাতী বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এই অচিন বৃক্ষের চারিদিকে সীমানা বা রিটেনিং ওয়াল দিয়ে সংরক্ষন করা জরুরী।
প্রয়োজনে স্থানীয়দের সমন্বয়ে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি কমিটি করা যেতে পারে। সেই সাথে বৃক্ষটির বংশ বিস্তারেরও উদ্দোগ নিতে হবে। কিভাবে এর চারা তৈরি করা যায় তা নিয়ে দ্রুত গবেষনা করে বের করতে হবে। চারা তৈরির পর নির্মল পরিবেশ তৈরির জন্য উত্তরা গণভবন সহ বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সমুহে এই অচিন বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা বা উদ্দোগ নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রাসরন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, প্রাচীনতম এই ‘অচিন’ বৃক্ষের কথা শুনেছেন। এলাকা পরির্দশন করে পরবর্তী উদ্যোগ নেওয়া হবে। চারা উদ্ভাবনের বিষয়টি নিয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ বলেন, তিনি দুলশী আদর্শ গ্রামের প্রাচীনতম ওই “অচিন’ গাছটি সংরক্ষনের উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া এলাকাটিকে পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুন্দর করে গড়ে তোলার উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে। গাছটির বংশ বিস্তারে করনীয় বিষয় নিয়ে স্থানীয় কৃষি-উদ্ভিদ ও বন বিভাগের সাথে আলোচনা করা হবে বলে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়‘এ ইতিমধ্যে এই বৃক্ষ সংরক্ষণ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। ওই বৃক্ষের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই ভাবে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন তিনি।
নাটোরের ঐতিহ্য সংস্কৃতির সুবিশাল অংশের কালের সাক্ষী এই বৃক্ষ। যদিও সঠিক রক্ষানাবেক্ষণের অভাবে অবহেলা সহ্য করে দাড়িয়ে আছে স্থানীয়দের বিশ্বাসী এবৃক্ষ। আমরা আশাবাদীদের দলে তাই প্রতিমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে অচিরেই এমন প্রত্যাশা নাটোরের বৃক্ষপ্রেমিক সহ সকলের।