ইসরায়েলের কারাগারে ৮৬ দিন অনশনে মারা গেলেন ফিলিস্তিনি বন্দি
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সুপরিচিত এক সদস্য ইসরায়েলের একটি কারাগারে ৮৬ দিন অনশনের পর মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ভোরের আগে খাদির আদনান নামের ওই বন্দিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি, বলেছে ইসরায়েলি কারা বিভাগ আইপিএস।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারেও খাদির বারবারই আপত্তি জানিয়েছিল বলে আইপিএসের দাবি।
তার মৃত্যুর খবর ঘোষিত হওয়ার পরপরই ইসলামিক জিহাদ গাজা থেকে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়ে, তবে সেসব রকেটে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গাজা ভূখণ্ডভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এর আগে খাদির জেলে মারা গেলে ইসরায়েলকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
৪৪ বছর বয়সী খাদির আদনানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া এবং বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, এ মাসেই তার বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল।
ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরের জেনিনের বাসিন্দা খাদির গত দুই দশকে বেশ কয়েকবারই ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। অন্তত ৫ বার তিনি কারাগারে ভেতর অনশন করেছেন।
তার মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী রানদা মুসা বলেছিলেন, খাদিরের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাকে কোনো ধরনের সহায়তা দিতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। “একটি কক্ষে খুবই কঠিন বন্দি দশায় আছেন তিনি,” বলেছিলেন রানদা।
ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে করা অমানবিক আচরণ আর সেখানে বন্দিদের অনশন ফিলিস্তিনিদের কাছে সবসময়ই ব্যাপক গুরুত্ব পেয়ে আসছে। বন্দিদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার জন্য ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলিদেরই দায়ী করে থাকে।