সুদানে নিহত ছাড়ালো ৩০০, লড়াই বন্ধে কূটনৈতিক চাপ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুদানে সেনা ও বেসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে তুমুল লড়াই বন্ধে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ। গত সপ্তাহ থেকে চলমান সংঘাতের কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা আরএসএফ। ঈদ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে। তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মুসলমাদের সবচেয়ে বড় দুটি উৎসবের মধ্যে একটি পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে আগামী তিনদিনের জন্য সুদানের দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো। এ অবস্থায় আগামী তিনদিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে আরএসএফ।
কিন্তু রাজধানী খার্তুমে এখনও ভারী গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগেও দুইপক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানালেও সংঘাত বন্ধ হয়নি। এরজন্য একে অপরকে দায়ী করে বিবৃতিতে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান। বলেন, ঈদে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রশস্তের প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে। এটি এখন অতি জরুরি।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, চলমান লড়াইয়ের কারণে ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পরিস্থিতি আরও অবনিতর শঙ্কা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২০২১ সালের অক্টোবরে একটি অভ্যুত্থানের পর সুদান শাসন করছে সেনাবাহিনী। যুদ্ধটি মূলত জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনা ইউনিট এবং সুদানের ডেপুটি লিডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে হেমেদতি নামে পরিচিত আরএসএফ-এর মধ্যে হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা