শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা একটি নতুন সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা করেছে এবং এটি এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বৃহস্পতিবারের ওই উৎক্ষেপণকে ‘বিস্ময়কর সাফল্য’ বলে অভিহিত করেছে।
তরল জ্বালানি চালিতে ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র আরও দ্রুতগতিতে ছোড়া যায়, ফলে এগুলো বাধা দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। তবে সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রও পুরোপুরি অসুবিধা মুক্ত নয় বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দৃঢ় ধারণা, একটি পুরোপুরি কার্যকরী সলিড-ফুয়েল আইসিবিএম তৈরি করেতে উত্তর কোরিয়ার আরও সময় প্রয়োজন।
কয়েক বছর ধরে স্বল্প পাল্লার সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া সলিড-ফুয়েল আইসিবিএম পরীক্ষা করল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিশেষজ্ঞরা এটিকে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচীর যুগান্তকারী সাফল্য বলে বর্ণনা করেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া সতর্ক হওয়ার পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে পারবে বলে বিবিসি জানিয়েছে ।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ উৎক্ষেপণের তদারিক করেছেন। এর সময় তার কন্যা, স্ত্রী ও বোন তার সঙ্গে ছিলেন।
কিম বলেছেন, এই পরীক্ষা বিরুদ্ধ পক্ষগুলোকে ‘চরম ভয় ও উদ্বেগে ভোগাবে’। এই হাসং-১৮ ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার আক্রমণাত্মক সামরিক কৌশলকে আরও কার্যকর করে তুলবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। এটি প্রায় ১০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) উড়ে গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব দিকের সাগরে পড়েছে।
তারা উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল জানিয়ে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘গুরুতর উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর জাপানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানকার বাসিন্দাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়াও পাশাপাশি তাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশও দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য আধ ঘণ্টার মধ্যেই এ আদেশ তুলে নেওয়া হয়।
জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের স্কুলগুলো ক্লাস শুরু করতে দেরি করে এবং কিছু ট্রেনের সূচী স্থগিত করা হয়।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এ উৎক্ষেপণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।