যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস, ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা স্পেশাল ফোর্স
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশের সামরিক বাহিনীর স্পেশাল ফোর্সগুলো ইউক্রেইনের ভেতরে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে ফাঁস হওয়া ডজন ডজন মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা নথিগুলোর একটি থেকে জানা গেছে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যেটি পুরোপুরি জল্পনার বিষয় হয়ে ছিল এ নথি সেটিকে সত্য বলে নিশ্চিত করেছে, জানিয়েছে বিবিসি।
ফাঁস হওয়া নথিগুলোর মধ্যে কিছু ‘টপ সিক্রেট’ চিহ্ন দেওয়া, এগুলোতে ইউক্রেইনে চলমান যুদ্ধের বিস্তারিত একটি চিত্র আঁকা রয়েছে। ইউক্রেইনের বসন্তকালীন পাল্টা হামলার প্রস্তুতির স্পর্শকাতর বিস্তারিত বিবরণও এতে আছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, কীভাবে এসব নথি অনলাইনে ফাঁস হল তার উৎস শনাক্ত করতে তদন্ত করছে তারা।
২৩ মার্চের তারিখ দেওয়া ওই নথি অনুযায়ী, ইউক্রেইনে যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ফোর্সের সবচেয়ে বড় বাহিনী রয়েছে, এরপর আছে নেটোর সহযোগী সদস্য দেশ লাটভিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস্।
তবে এসব বাহিনীগুলো ইউক্রেইনের কোথায় আছে আর তারা কী করছে, নথিতে তা জানানো হয়নি।
ওই স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের সংখ্যা সম্ভবত কম এবং নিঃসন্দেহে কমে-বাড়ে, কিন্তু সংখ্যা যাই হোক না কেন স্পেশাল ফোর্সের ধরন অনুযায়ীই তারা অত্যন্ত কার্যকর।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কো বলে আসছিল, তারা শুধু ইউক্রেইনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে না, নেটোর সঙ্গেও যুদ্ধ করছে; এখন ইউক্রেইনে নেটোর নেতৃস্থানীয় শক্তিগুলোর স্পেশাল ফোর্সের উপস্থিতিতে তাদের কথা সত্য হয়ে দেখা দিল।
এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে, এবারও তাই করেছে। কিন্তু মঙ্গলবার এক টুইটে তারা বলেছে, “ফাঁস হওয়া কথিত গোপন তথ্যগুলো ভুলের গুরুতর স্তর প্রদর্শন করেছে। অভিযোগগুলো সরাসরি গ্রহণ করার বিষয়ে পাঠকদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এতে ভুল তথ্য ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।”
তবে ফাঁস হওয়া ডজন ডজন নথির মধ্যে নির্দিষ্টভাবে কোনোগুলোর বিষয়ে তারা এমন দাবি করছে তা স্পষ্ট করেনি। কিন্তু প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, তারা এগুলো ‘আসল’ বলে মন্তব্য করেছেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ইউক্রেইনের সমর্থনে সোচ্চার দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পর কিইভকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তারা।