অসময়
আমি রোজ আমার মতন পথ করে নিচ্ছি
চোখ থেকে নেমে যাচ্ছে পথ
টলে পড়ে যাচ্ছি সময়ের পায়ে
ফিরে যেতে চাই পথে, ফিরবো কি উপায়ে?
সোনাগাছি
তোর মনে পড়ে আজ
রহস্য নীল বিষাদ কোথায় নিয়ে গিয়েছিল?
বন্য মুঠোয় নিজেকে ফুরিয়ে ফেলেছিস খায়
গ্রাম হারানো নির্জনতায় ভাঙা বৈঠায়
মুখের জ্যোতি ছড়িয়ে দিলি
এভাবে বাঁচাকেই বাবলি জন্ম জীবন
মুখে আজ আর কোনো ঢেউ জাগেনা
নিজের হাতে রাঙিয়ে দিলে রঙীন জীবন
আলগা খোলা ইচ্ছে গুলো
খুলতে থাকে হাতের কাঁকন
সবার হাতে ঘুরতে থাকে
তোর বিন্দু বিন্দু জীবন যাপন।
স্বপ্নলোক
চোখের সামনে মা দেখি সবটাই কৃত্তিম
যেনো রঙিন চ্যানেল, রহস্যময় ধুলো
চোখে মাখা হয় রোজ
বিজ্ঞাপনের মতন অসম সাহসী ছেলের দল
যারা দেখে মোহময় চোখ,
নরম চুল, আমি তখনও দেখি
তোমার বুক খোলা শার্ট
পাশ দিয়ে বিজ্ঞাপনেরা বয়ে যায়
তখনও তুমি আমার গলিতে ওড়াও পক্ষিরাজ।
নিষ্কর্ষ
আজ আর কিচ্ছুটি নেই
ঠোঁট, চোখ, গলা
বহু দিন আগে তুমি রেখেছিলে যেখানে হাত,
এখন আমার সর্ব শরীরে নখ আর দাঁত,
সময় এখন আর মনে নেই
শুধু জানি সেদিনের পর থেকে
আমার শরীর জাগে,
ঘুমোয় না একটুও
আজ থেকে কতদিন আগে মনে নেই
শুধু জানি এই সময়ে শরীরের মন খারাপ করে।
সমাধি
নিজেকে কতোটা নামিয়ে নিয়ে গেলাম সন্ধ্যেবেলা
তোমার ভেতর মিথ্যে ছিল,
বুকের ভেতর বানিয়ে তোলা,
নীল নীলিমায় শূন্যতা আজ আমার ভেতর অন্ধকারে,
শব্দ যেন মিলিয়ে গেল,
নীরবতা চতুর্ধারে
নৌকা কাঙাল আমার ভেতর,
বিদায়ী স্মৃতির শহর
বুকের ভেতর তোমায় নিয়ে খুঁড়ছি আমার কবর।
মালিন্য
নদীটির চোখের তলে জমেছে মাটি
জমেছে গোপন শরীর
কি গভীর অসুখ নদীটির
যতদূর সরিয়ে নিচ্ছি চোখ
ততদূর নেমে আসছে রাত্তির
কত পরিচিত ভোরবেলা
নদীকে উপহার দেব ভাবি
নদীর চোখের তলে জমেছে মাটি
তাকে ভালোবেসে আজও আমি
একলা নদীর পার ধরে হাঁটি।