ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে তানিসা ইসলাম (১১) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাত ১০টার দিকে বাড়ির ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তানিসাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তানিশার জেঠাতো ভাই আক্তার হোসেন নিশানকে (১৫) আটক করে। সে ঐ বাড়ির মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
শুক্রবার (৭ মে) তানিসা ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম হাসনাত বাদি হয়ে আক্তার হোসেন নিশানকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার বিকেলে হত্যা মামলার আসামি আক্তার হোসেন নিশানকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ শরাফ উদ্দিন আহমেদ এর আদালেতে হাজির করে। তানিসা ইসলামকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার জেঠাতো ভাই মামলার আসামি আক্তার হোসেন নিশান ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ শরাফ উদ্দিন আহমেদ এর আদালেতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
আদালতের জবানবন্দিতে নিশান বলেন, তার বাবা জীবিত না থাকায় ও তারা দরিদদ্রের মটও জীবন যাপন করে। চাচার পরিবার তার বাবার সব সম্পদ ভোগ দখল করছে। নিয়মিত তাদের চাচার পরিবারের সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও খারাপ ব্যবহার করতো। এ সব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তার মনে ভেতরে ক্ষোভ জমেছিল। তানিশার ভাই মসজিদে ‘ইতেকাফে’ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে মসজিদে ভাত পৌঁছে দিতে বললে, সে ভাত নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পথে অন্য একজনকে ওই ভাত পৌঁছে দিতে বলে-আবার বাড়ি ফিরে যায়। তখন তানিশা ও তার দাদি ঘরে ছিল। এ সুযোগে তাদের ঘরে ঢুকে তানিশার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। টানা-হেঁচড়া করে তাকে ছাদের সিঁড়ি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে একপর্যায়ে তানিশা হাত খুলে যায়। আবার হাত-মুখ বেঁধে তাদের রান্না ঘর থেকে ছোরা নিয়ে গলায় কোপানো হয়। পরে ছাদের এক পাশে একটি গাছ বেয়ে নিচে নেমে নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু সিঁড়িতে তার স্যান্ডেল ফেলে আসে।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের আদেশে কে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।