যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৪, আহত বহু
যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসর লিটল রক ও আশপাশের শহরগুলোতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে অন্তত চারজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের বিশাল এলাকাজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রবল টর্নেডো বয়ে যায়, ছয়টি অঙ্গরাজ্য থেকে ৪৩টি প্রাথমিক টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
ইলিনয়তে ১৬টি, আরকানসতে ১২টি, আইওয়াতে ৮, উইসকনসিনে ৩, টেনেসিতে ২ এবং মিসিসিপিতে ২টি টর্নেডোর উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা।
আরকানসর উইনে একটি টর্নেডো আঘাত হানার পর সেখানে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয় বলে সেইন্ট ফ্রান্সিস কাউন্টির ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অঙ্গরাজ্যটির নর্থ লিটল রক থেকে আরও একজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায়। ইলিনয়ের বেলভিডিয়ারে একটি নাট্যশালার ছাদ ধসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিটল রক এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন আর উইনে অনেক মানুষ নিজেদের বাড়িতে আটকা পড়েছেন। একজন শেরিফ জানিয়েছেন, ইলিনয়ের শেরমানে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উইন থেকে আসা ফুটেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি দেখা গেছে। বহু বাড়ির ও স্থানীয় একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে পড়ে রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।
উইনের মেয়র জেনিফার হবস সিএনএনকে বলেছেন, “পূর্ব থেকে পশ্চিমে ক্ষয়ক্ষতির একটি লাইন শহরটিকে দুই ভাগে ভাগ করে রেখেছে।”
পরিস্থিতিকে ‘পুরোপুরি বিপর্যয়কর’ বলে বর্ণনা করে উইনের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, বহু মানুষ ধ্বংসাবশেষের আবর্জনার নিচে আটকা পড়ে আছেন।
লিটল রক, উইন ও আশপাশের শহরগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবনের ছাদ ও দেয়াল ভেঙে, গাড়ি উল্টে পড়ে, গাছ পড়ে ও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
লিটল রক আরকানস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ও সবচেয়ে জনবহুল শহর। একটি আবহাওয়া চ্যানেলের প্রদর্শিত ফুটেজে নগরীটির বেশ কয়েকটি ব্লকের বহু বাড়ির ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়েছে বা উড়ে গেছে, রাস্তায় রাস্তায় বহু গাড়ি উল্টে পড়ে আছে বলে দেখা গেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পাওয়ারআউটেজ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে বলেছে, ব্যাপক একটি ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য টনের্ডোর উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সময় মিসিসিপিতে তৈরি হওয়া প্রাণঘাতী একটি টর্নেডোতে অঙ্গরাজ্যটির রোলিং ফোর্ক শহরে কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ২৬ জন নিহত হয়।