মিয়ানমারে বিদ্রোহী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ৮৮ জান্তা সদস্য নিহত হয়েছেন। ৮ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও এর সহযোগী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে এই নিহতের ঘটনা ঘটে। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইরাবতী।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের এইচপ্রাসো, হপেকন এবং পিনলাং শহরে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৮ মার্চ স্থানীয় সময় সকালে হপেকন টাউনশিপের খাউং ই এবং শয়ে পাই আয় গ্রামের কাছে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে পিডিএফ’র সংঘর্ষ হয়। ৯ মার্চ জান্তা সেনার বহরে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ ঘটায় পিডিএফ। এতে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছেন।
এর পরের দিন ১০ মার্চ বিকেলে পিনলাং টাউনশিপের লোন পাই গ্রামের কাছে পিডিএফ ও মিত্র কেআরইউ যোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
১১ মার্চ এইচপেকন টাউনশিপের পূর্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জান্তা বাহিনীর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লিন লিন টুনসহ কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হন। এ ছাড়া একজন কমান্ডারসহ আরও পাঁচ সেনা পিডিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ছাড়া জান্তা বাহিনীর বিপুল সমরাস্ত্র জব্দ করেছেন পিডিএফ যোদ্ধারা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ সময় সু চিসহ এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে দেশের জনগণের বড় একটি অংশ সামরিক শাসনে ফিরে যেতে চায়নি। ফলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু করে সাধারণ মানুষ ও গণতান্ত্রিক সরকারের কর্মীরা। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নির্বাচিত অংশ। এরপর সেনাদের হাতে এ পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি।