জল বাঁচাও
শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের শৌচালয় থেকে বেরিয়ে নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে নিজের নাকে চেপে ধরলেন কমলেশ চৌধুরী। ভাবটা এমন, যেন অন্নপ্রাশনের ভাত বেরিয়ে আসবে। নিজেকে কোনও রকমে সামলে নিজের জায়গায় গিয়ে বসলেন কমলেশ। মুখে একরাশ বিরক্তি ও ঘৃণা নিয়ে পাশের লোকের দিকে তাকিয়ে বললেন এত দুর্গন্ধ!! টেকা যাচ্ছে না। শৌচালয় থেকে বাধ্য হয়ে বেরিয়ে এলাম।
দয়া করে এসব শৌচলয়র যাবেন না।
এখন দেখছি এই কামরা থেকেই নেমে পড়তে হবে। কিছু নির্বোধ, মূর্খ, অশিক্ষিত, অসচেতন মানুষজনের জন্য দেশটা রসাতলে। শৌচালয়ে জল ব্যাবহার না করে কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এরা? সমাজকে মানুষকে দূষিত করে তুলছেন এরা। এদের বেঁচে থাকাই উচিত না’।
পাশের ভদ্রলোক বেশ কড়া চোখে তাকিয়ে বললেন কিছুক্ষণ আগে আমিই গেছিলাম শৌচালয়। আমরা জানি কোন সময় কোথায় জলের সঠিক ব্যবহার করতে হয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে ‘জল বাঁচাও’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
পিছুটান
বৃষ্টির রাত। দু’পেগ হুইস্কি নিয়ে বসেছে প্রতীক। বাজছে বিটোফেনের মাস্টারপিস। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে শরীরটা এলিয়ে পড়েছে সোফায়। চোখ কেমন যেন জড়িয়ে আসছে। প্রতি রাতের মতো শেফালিও এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। শেফালির ঠোঁট মিশে যাচ্ছে প্রতীকের ঠোঁটে। গলে পড়ছে মোমের মতো। দুটো শরীর মিশে যাচ্ছে, অদ্ভুত ভাল লাগায়। শেফালির নরম শরীরে ডুব দিতে দিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে প্রতীক ঠিক নেই।
আচমকা ঘড়িটা বেজে উঠল, চোখ খুলেই প্রতীক দেখল সকাল আটটা। খুব দেরি হয়ে গেছে। আজ জরুরি মিটিং অফিসে। স্নান সেরে পুজো দিয়ে রোজকার মতো আজও শেফালির ছবিতে মালা দিয়ে বেরোল প্রতীক।
পিয়ালী
অনেকক্ষণ ধরে বরকে ফোনে পাচ্ছিল না তুলসী। না পেয়ে বরের বন্ধুকে ফোন করল। বন্ধু বলল, এখন আমরা পিয়ালীর কাছে। রাতে ঘুমানোর সময় তুলসী বরকে বলল, পিয়ালীর সঙ্গে সম্পর্ক কত দিনের? তোমার বন্ধু সব জানে।
বর বলল, অনুষ্ঠানটা পিয়ালীতে ছিল। পিয়ালী একটা স্টেশনের নাম।