ইউক্রেজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৬
ইউক্রেজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সব হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি শহর।
এদিকে ইউক্রেনের বখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, ১০টি অঞ্চলের অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় কিয়েভে দুজন, খেরসনে তিনজন, দিনিপ্রোতে একজন নিহত হন।
এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির খারকিভ শহরের উত্তরাঞ্চল থেকে ওডেসার দক্ষিণে এবং পশ্চিমে জাইটোমি পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় খারকিভ ও ওডেশায় আবাাসিক ভবন এবং অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎসংযোগ।
রাশিয়ার নতুন হামলায় জাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড থেকে আবারও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহরের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সেখানে রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই অব্যাহত আছে ইউক্রেনের সেনাদের।
সার্বিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেছেন, যুদ্ধ চলতে পারে বছরের পর বছর ধরে।
ওডেশার গভর্নর ম্যাকসিম মার্চেনকো বলেন, বন্দর নগরী ওডেসার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকায়।
তিনি জানান, আবাসিক এলাকায়ও আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনও। যুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই আসছে প্রাণহানির খবর।পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে এই হামলা বন্ধের অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ ছাড়া কয়েক দফা দুই দেশের বৈঠকেও আসেনি কোনো সমাধান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বেড়েছে জ্বালানি, খাদ্যপণ্যসহ নানা পণ্যের দাম। ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।