ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সন টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হারালো টাইগাররা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বয়স ১৮ বছর হলেও, বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে দুইবার। আর দ্বিতীয়বারের দেখাতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ১৫৬ রান তোলে ইংলিশরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরু পায় সফরকারীরা। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল বাটলার-সল্টের উদ্বোধনী জুটি। তবে নাসুমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ফিল সল্টকে। দলীয় ৮০ রানের মাথায় ভাঙে সফরকারীদের উদ্বোধনী জুটি।
নাসুমের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ঠিকমতো খেলতে পারেননি সল্ট। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে আসা বল গ্লাভসে জমান লিটন। ভাঙে ৬০ বল স্থায়ী ৮০ রানের জুটি।
তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি ডেভিড ম্যালান। ব্যক্তিগত ৪ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিবের বলে তার ক্যাচ নেন লংঅনে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৬তম ওভারের শেষ বলে তাকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ১৩ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটার।
সাকিবের হাতে জীবন পেয়ে যেন বড় স্কোরের দিকে ছুটছিলেন জস বাটলার। তবে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বলে শেষ পর্যন্ত কাটা পড়তে হলো ইংলিশ এ অধিনায়ককে। আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৬৭ রান করেন বাটলার।
বাটলারের বিদায়ের পর ইংলিশদের রানের চাকা কিছুটা মন্থর হয়ে আসে। ম্যাচে হাসান মাহমুদ নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব, নাসুম, তাসকিন ও মুস্তাফিজ।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস ও রনি তালুকদার করেন ৩৩ রান। চতুর্থ ওভারে ১৪ বলে ২১ রান রান করে আদিল রশিদের গুগলিতে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি।
পঞ্চম ওভারে রনির মতোই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। আর্চারের লেংথ ডেলিভারী তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় ওকসের হাতে। ১০ বলে ২ চারে ১২ রান করেন লিটন। এরপর হাল ধরেন অভিষিক্ত তাওহীদ হৃদয় ও শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬৫ রানের জুটি যোগ করেন তারা। এর মাঝে মাত্র ২৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শান্ত। একই পথে হাটছিলেন হৃদয়ও। কিন্তু মঈন আলীর বলে কারানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। যার ফলে ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৪ রানে থামতে হয় তাকে।
ফিফটির ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। মার্ক উডের বলে বোল্ড হয় ফেরেন তিনি। তবে ততক্ষণে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বাকিটা পথ আফিফ হোসেনকে নিয়ে নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৬/৬ (সল্ট ৩৮, বাটলার ৬৭, মালান ৪, ডাকেট ২০, মইন ৮, কারান ৬, ওকস ১, জর্ডান ৫; নাসুম ৪-০-৩১-১, তাসকিন ৪-০-৩৫-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-১, সাকিব ৪-০-২৬-১, হাসান ৪-০-২৬-২)
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৫৭/২ (লিটন ১২, রনি ২১, শান্ত ৫১, তৌহিদ ২৪, সাকিব ৩৪, আফিফ ১৫*; কারান ২-০-১৮-০, ওকস ২-০-২১-০, আর্চার ৩-০-২৭-১, রশিদ ৩-০-২৫-১, উড ২-০-২৪-১, মইন ৪-০-২৭-১, জর্ডান ২-০-১৬-০)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত।