গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তির দিনে ১২ দফার শান্তি প্রস্তাব দেয় এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন। তারা যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার ওপর ‘একতরফা’ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়।
চীনের এই শান্তি প্রস্তাব দেওয়ার একদিন পরই তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক টুইটে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলেছেন, যদি আপনি নিজেকে গ্লোবাল প্লেয়ার হিসেবে দাবি করেন, তাহলে আপনি অবাস্তব প্রস্তাব দিতে পারেন না। যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং যুদ্ধে হারবে তার ওপর বাজি ধরতে পারেন না।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি: ফাইল ছবি
নিজেদের শান্তি প্রস্তাবে পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন। এছাড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার কথাও বলেছে চি।
এছাড়া উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো বলেছে, চীন যে শান্তি প্রস্তাবের কথা বলেছে, সেটিতে নতুনত্ব কিছু নেই। এর বদলে গত এক বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের যে অবস্থান ছিল সেটিরই পুনরাবৃত্তি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরোক্ষভাবে চীনের শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সংবাদমাধ্যম এবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাহলে এটি কিভাবে ভালো হতে পারে?’
‘আমি ওই প্রস্তাবে এমন কিছু দেখিনি, যেটি রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনো পক্ষের জন্য লাভজনক হবে।’
চীন বর্তমানে রাশিয়ার পক্ষেই অবস্থান করছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পাদক জন সিম্পসন বলেছেন, চীন পুতিনের ‘মুখ বাঁচানোর জন্য’ একটি শান্তি চুক্তি খুঁজে বের করবে।
এছাড়া সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্তোলতেনবার্গ চীনের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘চীনের শান্তি প্রস্তাবে জড়িত হওয়ার খুব বেশি অধিকার নেই। কারণ তারা ইউক্রেনের অবৈধ আক্রমণের সমালোচনা করতে পারেনি।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান