যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ধারাবাহিক বন্দুক হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। নিহতরা সবাই প্রতিবেশী টেনেসির মেমফিস থেকে প্রায় ৪৫ মাইল (৭২ কিমি) দক্ষিণে অবস্থিত ছোট শহর আরকাবুতলাতে একে অপরের কাছাকাছি ছিল।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গোলাগুলির ঘটনার পর নিহত তিন ব্যক্তিকে দু’টি বাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অন্যদের একটি দোকানে, একটি গাড়িতে এবং একটি রাস্তার মধ্যে পাওয়া গেছে।
এদিকে পুলিশ বিবিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের হেফাজতে একজন সন্দেহভাজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিবিসি বলছে, শুক্রবার এক বন্দুকধারী প্রথমে একটি স্থানীয় দোকানে প্রবেশ করে এবং একজনকে গুলি করে, তারপর কাছের একটি বাড়িতে যায় যেখানে সে একজন নারীকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় ওই নারীর স্বামী আহত হয় বলে টেট কাউন্টির শেরিফ ব্র্যাড ল্যান্স অ্যাকশন নিউজ ৫ কে জানিয়েছেন।
ব্র্যাড ল্যান্স বলেন, তার সহকর্মীরা সাক্ষীদের দেওয়া বর্ণনার সাথে মিলে এমন একটি গাড়ির ভেতরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখেছেন এবং গাড়িতে অল্প সময় ধাওয়া করার পরে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আরকাবুতলা ড্যাম রোডের একটি বাড়ির ড্রাইভওয়ে পর্যন্ত পালানোর চেষ্টা করেন এবং সেখানেই তিনি বসবাস করতেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে পুলিশ একই রোডওয়েতে আরও চারজন নিহতের সন্ধান পায়। তাদের দু’জনকে একটি বাড়ির ভেতরে এবং অন্য দু’জনকে বাইরে পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় প্রতিবেদক কেলি কুককে বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ‘হাতে একটি লম্বা বন্দুক নিয়ে ছদ্মবেশ পরিহিত অবস্থায় ছিল’। ইথান চেজ নামে ১৯ বছর বয়সী অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী ডব্লিউআরইজি-টিভিকে বলেছেন, তিনি বন্দুক-হাতে ওই সন্দেহভাজনকে দেখেছেন।
বন্দুক হামলার পর গাড়ির ভেতরে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির পালস পরীক্ষা করতে বাইরে আসার পর অভিযুক্তকে বন্দুক হাতে দেখতে পান তিনি। ১৯ বছর বয়সী স্থানীয় এই বাসিন্দা বলছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা… এখানে সাধারণত ঘটে না। ছোট এই শহরটিকে একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা বলে মনে করা হয়ে থাকে।’
বিবিসি বলছে, আদমশুমারির তথ্য অনুসারে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের আরকাবুতলা শহরের জনসংখ্যা ৩০০ জনেরও কম। হামলার ঘটনার পর মিসিসিপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।