যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় ও বাস্তুচ্যুতির কারণে বিশ্বজুড়ে ৭৮ মিলিয়ন ছেলে ও মেয়ে শিশু কখনও স্কুলে যায় না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এছাড়া আরও কয়েক মিলিয়ন শিশু অনিয়মিত শিক্ষা গ্রহণ করে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় গুতেরেস এসব কথা বলেন।
এসময় জাতিসংঘের গ্লোবাল ফান্ড এডুকেশন ক্যানট ওয়েট (ইসিডব্লিউ)”র মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।”
গুতেরেস বলেন, “বর্তমানে ২২২ মিলিয়ন শিশুর শিক্ষা ক্ষতির মুখে রয়েছে। তাদের সাহায্য করার জন্য ১৮টি দেশ এবং ব্যক্তিগত অংশীদাররা ল্যান্ডমার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে জাতিসংঘের বৈশ্বিক তহবিল ইসিডব্লিউ-তে ৮২৬ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার জীবনে যে বাধাই আসুক না কেন, আপনার মানসম্পন্ন শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।”
তিনি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু এবং তরুণদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আবেদন জানিয়েছেন।
জেনেভায় উচ্চ-পর্যায়ের অর্থায়ন সম্মেলনে মহাসচিব এডুকেশন ক্যানট ওয়েট (ইসিডব্লিউ) বিষয়টিকে স্বাগত জানান। ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তহবিলটি ৮৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সঙ্কটে থাকা সাত মিলিয়ন শিশুকে “তাদের প্রাপ্য শিক্ষা” দিয়েছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ১৮টি দেশ এবং বেসরকারি খাত থেকে প্রতিশ্রুতি হিসাবে ৮২৬ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত এবং ইসিডব্লিউ হাই-লেভেল স্টিয়ারিং গ্রুপের প্রধান গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, “আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম স্থানের এবং সবচেয়ে অবহেলিত শিশুদের কথা বলছি। আমরা সেই মেয়েদের কথা বলছি, যারা পাচার হতে বা শিশুশ্রম কিংবা বাল্যবিয়েতে বাধ্য হবে; যদি না আমরা তাদের সাহায্য করতে পারি।”