তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের দুটি প্রধান শহরে গর্ভনিরোধক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, মুসলিম জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তালেবানরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ দোকান থেকে সরিয়ে ফেলতে ফার্মেসি মালিকদের নির্দেশ দিচ্ছে তালেবান।
এক দোকান মালিক বলেন, ‘তালেবান বন্দুক নিয়ে আমার দোকানে দুইবার এসেছিল। আমাকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট না রাখার জন্য হুমকি দিয়েছে। তারা নিয়মিত কাবুলের প্রতিটি ফার্মেসি পরীক্ষা করছে। আমরা পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’
গত ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা ২০ বছর পর ফিরে পায় তালেবান। শুরুর দিকে উদারনীতিতে দেশ পরিচালনার বুলি আওড়ালেও ক্ষমতা পোক্ত হওয়ার সঙ্গে ভোল পাল্টায় তালেবান। কট্টর উপায়ে দেশ শাসন শুরু করে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক ধাত্রী বলেন, ‘আমাকে বেশ কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একজন তালেবান কমান্ডার আমাকে বলেছে যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পশ্চিমা ধারণা প্রচার করার অনুমতি নেই। এটি অপ্রয়োজনীয় কাজ।’
কাবুল এবং মাজার-ই-শরীফের অন্যান্য ফার্মাসিস্টরা নিশ্চিত করেছেন যে তাদের কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ স্টক না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাবুলের আরেক দোকানের মালিক বলেন, ‘এ মাসের শুরু থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট এবং ইনজেকশনের মতো আইটেমগুলো ফার্মাসিতে রাখার অনুমতি নেই। আমরা বিদ্যমান স্টক থেকে বিক্রি করতে খুব ভয় পাচ্ছি।’
এটি নারী অধিকারে তালেবানের সবশেষ হামলা। ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান, তরুণীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ। নারীদের বের করে দেয়া হয়েছে চাকরি থেকে। তাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর আরোপ হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান