মধ্য সিরিয়ায় এক হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে দায়ী করে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, আইএস গোষ্ঠী ‘শনিবার হোমসের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চলের পালমিরা এলাকায় ট্রাফল সংগ্রহের সময় প্রায় ৭৫ জনের ওপর হামলা করে।’ হামলায় ‘একজন নারীসহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সিরিয়ান শাসক বাহিনীর একজন সদস্য’ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানায় তারা।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এই হামলার খবর দিলেও তারা মৃতের সংখ্যা আরো কম উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, আইএস ‘সন্ত্রাসীরা’ মেশিনগানের গুলি চালিয়ে একজন নারীসহ চারজন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। এ ছাড়া আরো ১০ জন আহত হয়েছে, যাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
২০১৯ সালের মার্চে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থনে একটি সামরিক অভিযানের পর জিহাদিরা তাদের শেষ ভূখণ্ড হারায়। এরপর সিরিয়ায় আইএসের অবশিষ্টাংশের বেশির ভাগই দেশটির পূর্বাঞ্চলে মরুভূমির আস্তানায় পিছু হটে।
তখন থেকে তারা ইরাকে আক্রমণ করার সময় কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং সিরিয়ার সরকারি সৈন্যদের ওপর অতর্কিত হামলার জন্য এ ধরনের আস্তানা ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার মধ্য, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলে ট্রাফল সংগ্রহের সময় নারী-শিশুসহ অনেক লোককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিলে চরমপন্থী গোষ্ঠীটি কেন্দ্রীয় শহর হামার পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চলে ১৯ জনকে অপহরণ করে একই ধরনের আক্রমণ শুরু করে। তাদের বেশির ভাগ বেসামরিক লোক ছিল।
এদিকে সিরিয়ান ও রুশ হেলিকপ্টার মরুভূমিতে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ দমনের ফলে শুরু হওয়া সিরিয়ার সংঘাতে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে দেশটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র : এএফপি