ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে প্রায় এক বছর। সংকট নিরসনে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি আলোচনা হয়েছিল গত বছর। নতুন আলোচনায় বসতে হলে দুই দেশেই নানা শর্তজুড়ে দিয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন জাভেজদা বলেন করেন, আলোচনায় বসার জন্য কোনও পূর্বশর্ত থাকা উচিত নয় কিয়েভের। ফলে যেকোনও প্রস্তুত আছে মস্কো।
নতুন করে আবারও আলোচনার আভাস পাওয়া যাচ্ছে দুই দেশের। এ প্রসঙ্গে জেভেজদা টেলিভিশনকে এক সাক্ষাৎকারে ভারশিনিন জাভেজদা বলেন, ‘আলোচনার জন্য বরাবরই শর্ত ছুড়ে দিয়ে আসছে ইউক্রেন। কিন্তু বিষয়টি বিদ্যমান বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।’
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আসলে যেকোনও শত্রুতা আলোচনার মাধ্যমেই শেষ হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমরা আগেও বলেছি বৈঠকে বসতে আমরা প্রস্তুত থাকবো। তা সম্ভব পূর্বশর্ত ছাড়া হলে। কিন্তু মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তটি নেয় থাকে ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলস।’
কবে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে এ বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা অথবা প্রস্তাব রাখেননি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু রুশ বাহিনী। যা এখনও চলমান। ধ্বংস হয়ে গেছে বহু বেসামরিক বাড়ি-ঘর, জরুরি অবকাঠামো। মারা গেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এই যুদ্ধ শেষ করতে গত বছরেই বেলারুশ ও ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। কিন্তু কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, তাস নিউজ এজেন্সি।