স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছয় দিনের মাথায় এসেও ধ্বংসস্তূপে মিলছে লাশ। কখনও আবারও প্রাণের সন্ধান। তবে সময় যত বাড়ছে জীবিত থাকার সম্ভবনা কমে আসছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানান, দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাণহানির মধ্যে শুধু তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ জন।
সিরিয়ার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমটেস জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় মারা গেছেন ২ হাজার ১৬৭ জন। প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে।
বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের। ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লেবানন হয়ে সহায়তা পাঠাবে।
কনকনে ঠাণ্ডা আর তুষারপাতের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়া মানুষেরা অনেক সময় এক সপ্তাহ বা বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা দ্রুত কমছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবনের স্পন্দন পেতে থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছেন। যা কেউ জীবিত থাকলে তাদের দুর্বল অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সূত্র: সিএনএন