গ্রাম্য প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে বারবার শালিশ বৈঠক করে এবং মাপ জরিপ করেও নির্ধারণ করতে পারেননি মাত্র অর্ধশতাংশ জায়গার সীমানা।
স্থানীয় প্রভাবশালি কয়েকজন মাতব্বর অসৎ উদ্দেশ্যে এবং মোটা অংকের অর্থ হাতাতেই মূলত দু’পক্ষের বিরোধ অমিমাংসিত রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকবার মাপ জরিপ এবং শালিশ বৈঠক করলেও একটি পক্ষ সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার ফলে অমিমাংশিত অর্ধশতাংশ জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে নওশাদ শেখ বাড়ির বেড়া ঠিক করতে গেলে প্রতিবেশী ইদ্রিস প্রামানিকের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এদিন সকাল ৬ টার দিকে ইয়াকূবের বাড়ীতে রঞ্জু, মজনু, নজরুল, ছানো, শামসুল, আব্বাস, এরশাদ, শাহজাহান, হাসান, শামসুলসহ প্রায় ২০/২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ইয়াকুবের ঘর ভাংচুর করে এবং বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে বাঁধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ইয়াকুব গ্রুপের ইয়াকুব (৫৪), নওশাদ(৫১), নাইম (১৭), ইব্রাহিম (৮), লতিব (৪০), রংবালা খাতুন(৪৫), এবং ইদ্রিস গ্রুপের আব্দুস সামাদ (৬৫), ইতি খাতুন (২০) সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষ পরবর্তীতে শাহজাদপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলে উভয় পক্ষের দুইজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কয়েকবার সিমানা নির্ধারণের জন্য আমিন আসলেও ইদ্রিস গ্রুপ অনুপস্থিত থাকায় মাপ জরিপ সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং প্রধানবর্গ বারবার চেষ্টা করে সীমানা নির্ধারণে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে দু’পক্ষের সম্মতিতে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের গ্রাম আদালতের পক্ষে সহকারি সচিব আব্দুস ছাত্তার ও চেয়ারম্যান পক্ষের একজন আমিনসহ দুপক্ষের আমিন মাপ জরিপ শেষে প্রধানবর্গ সীমানা খুটি পুততে গেলে ইদ্রিস পক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে অমিমাংশিতই থেকে যায় অর্ধশতাংশ জায়গার সীমানা নির্ধারণ।
এ ব্যাপারে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, ইদ্রিসের স্ত্রী বিচার চেয়ে গ্রাম আদালতে লিখিত আবেদন করলেও পরবর্তীতে তিনি অদৃশ্য কোন কারনে সেই আবেদন উঠিয়ে নেন বলে আমাদের আর কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে গ্রাম্য প্রধান আব্দুল আলীম জানান, জায়গার দাবীদারদের অসহযোগীতার কারণেই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।