ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কাজ করছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইউএনএইচসিআর তাদের অফিশিয়াল ওয়েব সাইটে এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের সিরিয়া প্রতিনিধি শিভাঙ্ক ধানপালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সিরিয়ায় অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব মানুষের এখন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় আগে থেকেই বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আছেন। এই ভূমিকম্প বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
অর্থনৈতিক সংকট, করোনাভাইরাস মহামারি, তীব্র শীতসহ নানা কারণে এমনিতেই সিরিয়া মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে এই ভূমিকম্প দেশটিকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিভাঙ্কা ধানপালা।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থীশিবিরে জীবনযাপন করছে। সেসব শিবিরে এখন ভূমিকম্পে বাস্তুহারা মানুষেরা ভিড় করছে।
শনিবার সকালে তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৭১৩ জনে।
ইউএনএইচসিআর সিরিয়ার বাস্তুহারা মানুষদের জন্য আশ্রয় ও ত্রাণ সামগ্রীর ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সংস্থাটি তাঁবু, চাদর, কম্বল, ঘুমানোর ম্যাট, শীতের পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে কিনা সেটি তদারকি করছে।