ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বর্ষপূর্তির আর বেশি দেরি নেই। ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, বর্ষপূর্তিকে উপলক্ষ ধরে বড় ধরনের হামলার ছক কষছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের দুই প্রতিবেশী রাশিয়ার মিত্র বেলারুশ ও ন্যাটো জোটের সদস্য পোল্যান্ডের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা তুলে ধরে পোল্যান্ড বলেছে, বেলারুশ সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং বাব্রোওনিকি শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় ১২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পোল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় বৈরী বেলারুশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছেছে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর কট্টর বিরোধিতাকারী দেশ হলো পোল্যান্ড। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলারুশের প্রধান মিত্র রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর কিয়েভের সবচেয়ে সোচ্চার সমর্থক পোল্যান্ড।
পোলিশ সরকারের সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের সমালোচনা করেছে বেলারুশ। তবে শুক্রবারের বিবৃতিতে তারা শুধু সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেশটি বলেছে, পোল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং বিপজ্জনক।
বেলারুশের সীমান্ত কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, পোলিশ কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের ফলে সীমান্তের উভয় পাশে ধস নামতে পারে। ক্রসিং বন্ধের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
এতে আরও বলা হয়েছে, ক্রসিংটি বন্ধ কার্যকর হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সীমান্ত ক্রসিংয়ের মধ্যে মাত্র দুটি চালু থাকবে। এই দুটি চেকপয়েন্টে তীব্র চাপ বাড়বে।
মিনস্ক বলছে, তাদের ধারণা এই সিদ্ধান্ত পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়েছে সীমান্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ও নাগরিকদের যাতায়াত সীমিত করার জন্য।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতিউ মোরাওয়েইকি বলেছেন, বেলারুশের সঙ্গে আরও সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করতে পারে পোল্যান্ড। এর কারণ হলো, বেলারুশের সঙ্গে আমাদের উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং তারা রাশিয়া ও ক্রেমলিন দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর আগে বুধবার বেলারুশের একটি আদালত পোলিশ বংশোদ্ভূত এক সাংবাদিককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ওয়ারশ বলছে, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পোলিশ বংশোদ্ভূত হাজারো মানুষ বেলারুশে বসবাস করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সীমান্ত পুনর্নির্ধারণের আগ পর্যন্ত বেলারুশের পশ্চিমাঞ্চল পোল্যান্ডের ভূখণ্ড ছিল।
সূত্র: রয়টার্স