আমেরিকা ছাড়াও ৪০টি দেশের ওপর নজরদারি চালিয়েছে চীনের স্পাই বেলুন। চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি হঠাৎ সবার সামনে এসেছে।
আমেরিকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর নজরদারি রাখতেই স্পাই বেলুন পাঠিয়েছে চীন। অন্যদিকে চীন দাবি করছে, কোনো নজরদারি নয় বরং আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ওড়ানো হয়েছিল ওই বিশালাকার বেলুন। পরবর্তীতে বাতাসের ধাক্কায় পথ হারিয়ে আমেরিকার আকাশসীমা অতিক্রম করেছিল। যা গত সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল ছুঁড়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নামানো হয় স্পাই বেলুনটি। এই ঘটনার পর থেকে আমেরিকা-চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আমেরিকা জানায়, চীনের ওই বেলুনটি ৪০টি দেশের ওপর থেকে উড়ে এসেছিল যা সন্দেহজনক। এমনকি এটি কমিউনিকেশন সিগন্যাল সংগ্রহ করতেও সক্ষম। ধারণা করা হচ্ছে, বেলুনটির মাধ্যমে প্রতিটি দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে চীন।
ইতোমধ্যেই সমুদ্র থেকে বেলুনের যন্ত্রাংশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। যা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে এফবিআইয়ের সদর দফতর কোয়ান্টিকোয় পাঠানো হয়েছে। আমেরিকার দাবি, মন্টানার পরমাণু লঞ্চ প্যাড বেসের ওপর নজর রাখছিল ওই স্পাই বেলুনটি।
এই ঘটনায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি পিপলস রিপাবলিক অব চীনের পাঠানো নজরদারির বেলুনটি পাঁচ মহাদেশের মোট ৪০টি দেশের ওপর দিয়ে উড়ে এসেছে। এই বিষয় নিয়ে বাইডেন প্রশাসন সরাসরি ওই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
তিনি আরও বলেন, চীন প্রায়সময়ই এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকে। বেলুনের প্রস্ততকারকের সঙ্গে চীনের সেনাবাহিনীর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের পক্ষ থেকে বেলুনটি তাদের নিজেদের বলে স্বীকার করে নিলেও, তা নজরদারির জন্য পাঠানো হয়নি বলে জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সেটা ওড়ানো হয়েছিল। আমেরিকা ওই বেলুন মিসাইল ছুঁড়ে নামিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।