ভয়াবহ ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় কিছুটা ধীরগতির কথা নিজেই স্বীকার করে নিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, বিপর্যকর ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দেওয়া অসম্ভব ছিল।
ভয়াবহ ভূমিকম্প ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যু। তুর্কি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হিসাবে, ১২ হাজার ৩৯১ জন মারা গেছেন তুরস্কে। আর প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৩ হাজার।
এমন ভূমিকম্পে শেষ কবে দেখেছে জানা নেই তুর্কিবাসীর। ধ্বংসের মাত্রা এতটাই যে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণে হাতায়ে শহরে ছুটে আসেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তার সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, ভূমিকম্প পরবর্তীতে উদ্ধার তৎপরতায় গাফিলতি রয়েছে।
এরদোয়ান কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করলেও পরিস্থিতি এখন তার সরকারের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেন। কিন্তু দ্বিমত পোষণ করে তুরস্কের বিরোধী দলের প্রধান কামাল কিলিচদারোগ্লু বলেন, ‘এর জন্য যদি একজন দায়ী থাকেন, তিনি এরদোয়ান।’
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘দুর্যোগের পর ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। এমন মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক স্বার্থে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো লোকদের পেটাতে পারি না।’
উদ্ধারকাজে বিলম্বে এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করছেন। তবে তিনি জানান, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। শুরুতে বিমানবন্দর ও সড়কে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আগামীকাল আরও সহজ হবে।
উদ্ধারকাজকে আরও সহজ করতে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশে আপাতত সহজ করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
এদিকে ভূমিকম্পে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পাশাপাশি সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেও সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, সোমবার তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০টি আফটার শক হয়েছে। এগুলোর মাত্রা ৪ দশমিক ০ বা বেশি ছিল। সূত্র: বিবিসি