তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েকশ বাড়ি ধসে পড়ে। কম্পনের দু’দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনো শত শত মানুষ আটকা পড়ে আছেন সেসব ভবনের নিচে। সাধারণ তুর্কিদের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার অভিযান চালানোয় অনেকে এখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকা পড়ে মারা যাচ্ছেন। আর এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষের দানা বাঁধছে।
বার্তাসংস্থা এএফপি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানতেপের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এখানে কোনো উদ্ধারকারী আসেননি। তারা আসেন সোমবার সন্ধ্যার পর। রাত নেমে আসায় কয়েক ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন উদ্ধারকারীরা।
চেলাল দানিজ নামে গাজিয়ানতাপের ৬১ বছর বয়সী এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ পরে হস্তক্ষেপ করে।’
দানিজের ভাই ও ভাতিজারা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আদায় করা আমাদের ট্যাক্স কোথায় গেল?’
তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর ‘ভূমিকম্প ট্যাক্স’ আরোপ করে সরকার। বলা হয়েছিল, এমন বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটলে সেই ট্যাক্সের অর্থ খরচ করে উদ্ধার কাজ চালানো হবে।
বর্তমানে এ ট্যাক্স বাবদ তোলা ৮৪ বিলিয়ন তার্কিস লিরা (৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সরকারি কোষাগারে জমা আছে। এ অর্থ খরচ করে দুর্যোগ প্রতিরোধী কার্যক্রম এবং জরুরি পরিষেবার অবকাঠামো নির্মাণের কথা ছিল।
সূত্র: আল জাজিরা