ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডনবাসের লুহানস্কে সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করছে রাশিয়া। লুহানস্কে ইউক্রেনের নিযুক্ত গভর্নর সের্হি হাইদাই এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন, যে কোনো সময় হামলা শুরু করতে পারে রুশ বাহিনী।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনীয়ান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা দেখছি আমাদের দিকে আরও রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। আমরা দেখছি আরও যুদ্ধ সরঞ্জাম আনা হচ্ছে…।’
‘তারা যেসব অস্ত্র আনছে সেগুলো আগে অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তারা এখন দিন-রাত টানা গোলা ছুড়ছে না। গোলাবারুদ জমিয়ে রাখেছে, বড় হামলার জন্য। রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করতে তাদের ১০ দিন সময় লাগবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর আমরা ধারণা করছি যে কোনো মুহূর্তে হামলা শুরু হবে।’
এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বদিকে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় সেনারা জানিয়েছে, রুশ সেনাদের তুলনায় তাদের সেনা সংখ্যা এখন কম। এছাড়া পর্যাপ্ত অস্ত্রও নেই।
এছাড়া সেখানকার বেসামরিক বাসিন্দারাও চিন্তায় আছেন, তারা কী অন্য কোথাও চলে যাবেন নাকি থেকে যাবেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার নতুন হামলা কবে শুরু হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। যদিও এর আগে রুশ বাহিনীর রাজধানী কিয়েভ দখল করার পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দিয়েছিল তারা।
কিন্তু রাশিয়া এখন নতুন সেনা জড়ো করেছে। যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের পূর্ব দিকে যে সংখ্যক সেনা প্রবেশ করেছিল বর্তমানে সেই সংখ্যক সেনা নিয়েই এগিয়ে আসছে তারা।
এদিকে গত কয়েকমাস ডনবাসের দোনেৎস্কের বাখমুত শহর দখল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। বলা হচ্ছে, শহরটিতে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলছে তারা। আর তাই যে কোনো সময় বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, যতক্ষণ সম্ভব বাখমুতের দখল ধরে রাখবেন তারা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান