ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। চারদিকে হাহাকার। নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বিদেশি রিজার্ভ দিন দিন কমছে, ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতন হয়েই চলছে। সাধারণ মানুষ নিজেদের খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের নিত্যদিনের চিত্র এটি।
আর এ অর্থনৈতিক দুরাবস্থা থেকে রক্ষা পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। ঋণের ব্যাপারে আলোচনা করতে গত ৩১ জানুয়ারি দেশটিতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলও এসেছে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
এরমধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইএমএফ ঋণ দিতে ‘অভাবনীয়’ শর্ত দিচ্ছে। কিন্তু তাও তাদের কিছু করার নেই। তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত মেনে নেবেন তিনি।
এ ব্যাপারে শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘আমি বিস্তারিত-তে যাব না। কিন্তু একটি কথা বলব আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অকল্পনীয়। আইএমএফের সঙ্গে যে শর্তে আমাদের রাজি হতে হবে সেগুলো অভাবনীয়। আমাদের এসব শর্ত মেনে নিতে হবে।’
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুক্রবার জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের কাছে বিদেশি রিজার্ভ আছে ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানীব্যয় মেটানো যাবে। ফলে এখন অতি জরুরি পণ্য ওষুধ ও খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য আমদানি করতে এলসি দিচ্ছে না দেশটির সরকার। আর এ কারণে করাচি বন্দরে পড়ে আছে হাজার হাজার কন্টেইনার।
এদিকে আইএমএফ পাকিস্তান সরকারকে শর্ত দিয়েছে ঋণ পেতে হলে সবক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি করতে হবে, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে, ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
তবে আসন্ন নির্বাচনের কথা চিন্তা করে বর্তমান শেহবাজ শরীফ সরকার কর বৃদ্ধি ও ভর্তুকি বাদ দিতে চাইছিল না। কিন্ত আইএমএফও শর্ত পূরণ ছাড়া ঋণ দেবে না। ফলে এখন তাদের বাধ্য হয়ে শর্ত মেনে নিতে হবে।