বরিশালে পিস হিসেবে তুরমুজ কিনে কেজি হিসেবে অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করার অপরাধে গত ৩ দিনে ২৮ প্রতিষ্ঠানে ২৩,২০০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
আজ বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম নগরীরর বটতলা ও পোর্ট রোড এলাকায় এক তরমুজ ব্যবসায়ীকে ১ হাজার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত হোসেন ও নিশাত ফারাবীর নেতৃতে চৌমাথা, নতুনবাজার এলাকায় ৫ তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৮.৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
‘তারা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে মাত্রাতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করছিল’ বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাভেদ হোসেন চৌধুরী ও এস এম রাহাতুল ইসলাম নগরীরর পোর্ট রোড, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা , সাগরদী , বটতলা ও ফলপট্টি এলাকায় মোট ৮ টি প্রুতষ্ঠ্যানে ৩২০০ টাকা ও সোমবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল হাই এবং রয় ত্রিপুরা মোট ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, ১০,৩০০ টাকা জরিমানা করেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সুব্রত বিশ্বাস দাস জানান এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা মাত্রাতিরিক্ত দামে ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছিল, এর ফলে ছোট আকারের তরমুজের দামও ৫০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাহাতুল ইসলাম জানান ছোট আকারের ৬/৭ কেজি ওজনের তরমুজ চাষীরা ৩০/৪০ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। প্কিাররা সে গুলিই ৭০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এসব তরমুজ ৫০ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এর ফলে ছোট আকারের তরমুজও বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার উপরে। চাহিদা বেশী থাকায় প্রতিটি তরমুজে ২০০ টাকার উপরে লাভ করছে যা কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। এরা একটি সিন্ডিকেট করে তরমুজের দাম দামাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে রাখছে, এদর বিরুদ্ধে আমরা অভিযান অব্যাহত রাখব।
বরিশাল ফল ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক দত্ত জানান, পাইকারী ব্যাবসায় দাম তেমন না বাড়লেও খুচরা ব্যাবসায়ীরা কয়েক গুন দামে বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে এই বিষয়টি দেখার জন্য সহযোগিতা করছি।