সাময়িকী.কম
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের একটি অংশ- ফাইল ফটো |
মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়া ১৫৫ জন বাংলাদেশীকে আজ দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বলছে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আজ মিয়ানমারের বর্ডার গার্ডের সাথে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
গত মে মাসে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীকে আটক করে মিয়ানমার। এদের মধ্যে প্রায় দুশ জনকে এর আগে দু দফায় বাংলাদেশে আনা হয়।
প্রথম ধাপে ফিরিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো ১৫০ জনকে- ফাইল ফটো |
বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরে কমান্ডার এম এম আনিসুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন যারা অবৈধ ভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের মধ্যে কিছু মিয়ানমারে আটকা পড়ে।
আজ সকালের অধিবেশনের জন্যে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন মিয়ানমার থেকে এর আগে প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ জনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
“তৃতীয় ধাপে ১৫৫ জনকে আনা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু আসবে”।
এখনো যেসব বাংলাদেশী নাগরিক মিয়ানমারে আটকা আছে তাদের সম্পর্কে জানতে চাইলে মিস্টার রহমান বলেন, “মিয়ানমারের ক্যাম্পে আরও যারা আটকে আছে তাদের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো খাবার সরবরাহ করছে। আমার মনে হয় তারা ভালোই আছে”।
বাংলাদেশী নাগরিকদের বিষয়ে কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছে বিজিবি,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মিয়ানমারে বাংলাদেশ কনস্যুলেট এদের তথ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এরা যে বাংলাদেশের নাগরিক সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে”।
মিস্টার রহমান জানান আটকে পড়া বাংলাদেশীদের এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং এরপর পুলিশ দেখবে এদের বিষয়টি। দালালরা জড়িত কি-না সেটি তারাই দেখবে।