রবিরেখা নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উজ্জ্বল মুখশ্রীটি। পরিবারে কবির ডাক নাম ছিলো রবি। বিভিন্ন বইয়ে তেমনটি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া সাহিত্যমহলেও অনেকেই তাকে ‘রবিবাবু’ নামে সম্বোধন করতেন। সেই আলোকময় নাম ও আদর্শকে ধারণ করে এবং তার সংগীতকে চলার পথের বাহন করে একদল তরুণ-তরুণী তাদের সংগীতের পথযাত্রা শুরু করে। তাদের সংগঠনের নাম দেয় “রবিরেখা”। কবিগুরুর একান্ত ইচ্ছে ছিল যেন তাঁর গানকে তাঁর মতো করেই গাওয়া হয়,যেন শুনলে তাঁর মনে হয় এটি তাঁরই গান। তাই রবিরেখার উদ্দেশ্য সঠিক স্বরলিপিকে আশ্রয় করে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করা।
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের দরুণ কবির অনেক স্বপ্নের অবসান ঘটে। অনেক চেষ্টার পরেও তাঁর সেইসব স্বপ্ন অসম্পূর্ণই রয়ে যায়। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস করছে রবিরেখা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার মাধ্যমে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার এই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় ঘটে। একসাথে পড়াশোনা, বন্ধুত্ব এবং শিল্পচর্চার মাধ্যমে তাদের ভাবনাগুলোকে উন্মোচনের লক্ষ্যে প্রকাশ ঘটে রবিরেখার। হয়ত ভৌগলিকভাবে দুইবাংলাকে এক করা সম্ভব নয় কিন্তু মানসিক এবং সামাজিকভাবে অবশ্যই সম্ভব যার দিশারী হয়ে থাকবেন রবীন্দ্রনাথ। এই দিশারীর অনুসরণে আজ ৪ঠা আগস্ট বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে Rabindranath Tagore Centre , Sattyajit Ray Auditorium , RTC, ICCR (Indian Council for Cultural Relations), Kolkata এবং রবিরেখার যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের বর্ষার গান নিয়ে অনুষ্ঠান “বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা”। তার সাথে রয়েছে এই সংগঠনেরই একজন সদস্যা অন্তরা সাহা’র প্রথম একক এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন শ্রীকান্ত আচার্য্য ও জয়তী চক্রবর্তী।
এই অনুষ্ঠানটিতে সকলের আন্তরিক উপস্থিতি সংগঠনটির চলার পথ আরও সুদৃঢ় করবে এমনটাই প্রত্যাশা “রবিরেখা”র। রবিরেখার এই সুপ্রচেষ্টার জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যৌবনের জয় সর্বত্র। আশা রইলো এই তরুণ-তরুণীর প্রচেষ্টা সফল হোক।
সদস্য-সদস্যাবৃন্দঃ সত্যজিৎ ঘোষ, শুভঙ্কর মণ্ডল, ইসরাত মৌ, আঁখি রায়, অন্তরা সাহা, শর্মিতা দত্ত, প্রণয় কর্মকার, কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বেরা, রাখি আদক, নম্রতা ভট্টাচার্য্য
লেখিকা : ইসরাত মৌ, শাহাজাদপুর বার্তা, রবিরেখা সদস্যা।