শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা ভাঙ্গন কবলিত জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা ও আরকান্দি গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে ভাঙ্গন রোধে বাঁশের ছটকা নির্মাণ করেছে। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে বাঁশ কিনে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবার আশায় এ বাঁশের ছটকা দিয়েছেন। আরকান্দি থেকে শুরু করে পাকুরতলা আবাসন প্রকল্প পর্যন্ত ৬ স্থানে ছটকা দেওয়া হয়েছে। যমুনা নদীর প্রবল স্রোতকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে বাঁশের ছটকা দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। যমুনার তীব্র ভাঙ্গণে বিস্তৃত ফসলি জমিসহ ৮ থেকে ১০টি গ্রাম অনেক আগেই যমুনা গর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙ্গণ রোধে এখনই কার্যকর স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হলে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের এসব গ্রাম মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন নদী তীরবর্তী মানুষ জন। এসব এলাকায় যমুনার আগ্রাসনে অনেক মানুষ ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে।
ঘাটাবাড়ি গ্রামের ফারুক হোসেন জানান, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের চাইতেও খারাপ অবস্থায় আছি, রোহিঙ্গাদের তো সরকার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কিন্তু আমাদের সেই অবস্থাও নেই। আমাদের সব শেষ; বাপ দাদার ভিটে-মাটি কিছুই আর অবশিষ্ট রইলো না।’ জালালপুর গ্রামের হাজী আজমত আলী মুন্সি, মহির উদ্দিন, দানেজ ব্যাপারী ও পাকুরতলা গ্রামের সমাজ সেবক কামরুজ্জামান কামরুল জানান বলেন, ‘সরকারের কাছে একটাই চাওয়া যেন খুব দ্রুত ভাঙ্গণ রোধে এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। যমুনা তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাস হতে বিলম্ব হওয়ায় গ্রামের মানুষদের একত্রিত করে বাঁশের ছটকা দিয়ে তীব্র ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’