সাময়িকী.কম
অভিনয়ে তারা মুগ্ধ করেছেন দর্শক। আবার রাজনীতি করতে এসেও পেয়েছেন জনগণের সহযোগিতা। সিনেমার জনপ্রিয়তা সফল করেছে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। রূপালী পর্দা থেকে রাজনীতির মঞ্চে আসা তেমনই ক’জন হলিউড তারকা-
উইকলিফ জিন: ২০০০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মারা যায় হাইতির প্রায় দুই লাখ মানুষ। নিজ এলাকার মানুষের কল্যানে ‘উই আর দ্য ওয়ার্ল্ড ২৫ ফর হাইতি’ গড়ে তোলেন এই সংগীত শিল্পী। রাজনীতির পথটা তারপর থেকে মসৃন।
সনি বোনাে: জনপ্রিয় এই গায়ক স্ত্রীকে নিয়ে গড়ে তোলেন গানের দল সনি অ্যান্ড শের। ১৯৮৮ সালে হঠাৎ করেই রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি, নির্বাচিতন হন ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিং সিটির মেয়র হিসেবে। ১৯৯৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএস হাউজ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন সনি।
শেরিল হল: সত্তরের দশকের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী শেরিল হল প্রথম থেকেই লেবার গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরে কেন্ট কাউন্টি কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেন।
রোনাল্ড রিগ্যান: চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকের সফল অভিনেতা এবং রেডিও সঞ্চালক রােনাল্ড রিগ্যান হঠাৎ করেই মনোযোগী হন রাজনীতিতে। ১৯৬৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
আর্নল্ড শোয়ের্জনেগার: বডি বিল্ডার ও অভিনেতা আর্নল্ডের রাজনীতির ক্যারিয়ার শুরু হয় প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কল্যানে। তিনি ১৯৯০ সালে ফিজিক্যাল ফিটনেস অ্যান্ড স্পোর্টসের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ঘােষনা করেন আর্নল্ডকে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নিয়েছেন রাজনীতির পাঠ। অবশেষে ২০০৩ ও ২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচন করেন- দু’বারই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
জর্জ উইয়া: সিনে দুনিয়ায় খুব বেশি পরিচিত নন তিনি, তবে ফুটবল প্রেমি ভক্তদের কাছে পরিচিত তার কণ্ঠ, অভিব্যক্তি এবং চমৎকার উপস্থিতি। ২০০৫ সালে নিজ দেশ লাইবেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন তিনি, বিজয়ী হয়ে কাজ করছেন দেশের জন্য।
ক্লিন্ট ইস্টউড: পরিচালনা, প্রযোজনা এবং অভিনয়- সবখানেই সফল তিনি। ধারাবাহিকতায় কারমেল বাই দ্য সি শহরের মেয়র নির্বাচনেও বাধা পাননি কোন। বেশ কয়েকবার দল বদলে আজ তিনি পাকা রাজনীতিবিদ!
ফ্রেড থমসন: ১৯৯৪ এবং ২০০৩ সালে দুই বার টেনেসের সিনেটর নির্বাচিত হন এই ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ খ্যাত অভিনেতা। রিপাবলিকান মতাদর্শে তিনি জোরালো কণ্ঠ।
জর্জ মারফি: বিনো দুনিয়া থেকে রাজনীতির মাঠ- ভক্তহৃদয়ে আসনটা পোক্ত করার উপায় ভালোই জানতেন তিনি। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭১- ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর হিসেবে জনপ্রতিনিধত্ব করেন সফলভাবেই।
আল ফ্রাঙ্কেন: মিনেসোটার সিনেটর হিসেবে বেশ গুরুগম্ভীর দ্বায়িত্ব পালন করলেও পর্দায় বরাবরই কমেডি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। অবশ্য ২০১১ সালের পর থেকে সিনেমা কিংবা টিভিতে সময় দিতে পারেননি রাজনৈতিক ব্যস্ততায়।