স্মরণ
দীনেশচন্দ্র সেন |
সাময়িকী.কম : দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৬৬-এর ৩রা নভেম্বর মানিকগঞ্জের বগজুড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ এবং ১৯৩৯-এর ২০শে নভেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৯০-এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কালে গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে প্রাচীন বাংলার পুঁথি সংগ্রহ করেন এবং সেসব উপকরণের সাহায্যে ১৮৯৬-এ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” শিরোনামে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করেন। ১৯১১ সালে তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্থ “হিস্ট্রি অব বেঙ্গলি লিটেরেচার” প্রকাশিত হলে তা সর্বমহলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে “রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলোসিপ” প্রদান করে এবং এর আওতায় তিনি “মৈমনসিংহ গীতিকা” ও “পূর্ববঙ্গ গীতিকা” সম্পাদনা করেন। ১৯২১-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি.লিট ডিগ্রী এবং ১৯৩১-এ “জগত্তারিণী স্বর্ণপদক” প্রদান করেন। ১৯২১-এ ভারত সরকার তাঁকে “রায় বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯২৬-এ মৈমনসিংহ গীতিকা গ্রন্থটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন রচিত গবেষণাধর্মী “বৃহৎবঙ্গ” গ্রন্থটি বাঙালীর ইতিহাস চর্চায় অনন্য! তাঁর প্রধান গ্রন্থসমূহ: বৃহৎ বঙ্গ (১ম ও ২য় খণ্ড), বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (১ম ও ২য় খণ্ড), বাংলার পুরনারী, প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান, হিন্দু সমাজ ও বৈষ্ণব ধর্ম, মৈমনসিংহ গীতিকা, ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য, রামায়ণী কথা।