সাময়িকী.কম
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে কবির দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এবং পরে ধানমন্ডিতে কবির বাসার সামনে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে জানাজার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বাংলা একাডেমি চত্বরে কবির ভক্ত, অনুরাগী, সতীর্থসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কবির প্রতি। বাংলা একাডেমিতে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের প থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রফিক আজাদের লাশ আনা হয়। সেখানে তাকে প্রথমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা শেষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয় কবির লাশ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবির প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কবি পরিবারের সদস্যবৃন্দ, কবি সৈয়দ শামসুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলা একাডেমি চত্বরে নেয়া হয় কবির লাশ। বাংলা একাডেমি থেকে লাশ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে কবির জানাজার নামাজ পড়া হয়। এরপর ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হলে সেখানে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।