সাময়িকী.কম
রোজ নিজের অভিনয় প্রতিভায় সারা পৃথিবীকে মুগ্ধ করছেন যিনি, তাঁর টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কেনার দরকারটা কী? তাহলে, এই যে এমন একটা অভিযোগ উঠল বলিউডের বাদশাকে নিয়ে- খবরটা ভুয়া তো? সমস্যাটা তো সেখানেই! খবরটা আগাগোড়া সত্যি। এবং, অন্য কেউ নয়, খবরটা শোনা গেছে খোদ শাহরুখ খানেরই মুখে!
কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে যে তিনি টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কিনতে চেয়েছিলেন, নিজের মুখেই শাহরুখ স্বীকার করেছেন সেই কথা। হয়েছে কী, ১৯৯৪ সালের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখকে ছেঁকে ধরা হয়েছিল বেশ কিছু নির্মম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। অভিযোগগুলো ছিল তাঁর স্বভাবজাত ঔদ্ধত্য, সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং টাকা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড কিনতে চাওয়া! শাহরুখ একটা প্রশ্নও এড়িয়ে যাননি। বরং, সোজা-সাপটা জানিয়েছেন, নিতান্ত বাধ্য হলে তবেই মানুষ এরকম করে! ‘দেখুন, একজন মানুষ যখন কোনো কিছু পাওয়ার জন্য নিতান্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তখন আপসেই আদর্শরেখা থেকে তাঁর বিচ্যুতি ঘটে। অন্য কোনো কিছু তাঁর আর তখন খেয়াল থাকে না। আমিও সেরকমই সে বছরের সেরা অভিনেতার অ্যাওয়ার্ডটার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। তাই ওই অ্যাওয়ার্ডটা যাঁরা দিচ্ছেন, একদিন গিয়ে হানা দিলাম তাঁদের অফিসে। গিয়ে এডিটরকে বললাম, আমার অ্যাওয়ার্ডটা চাই। এর জন্য যদি পয়সা দিতে হয়, আমি রাজি আছি’, শাহরুখের জবানবন্দি!
তবে, ঘটনা বলছে, সে বছরের সেরা অভিনেতার অ্যাওয়ার্ডটা শাহরুখ পাননি! কে জানতেন, তার বেশ কয়েক বছর পর থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রায় একচেটিয়া ভাবে আসবে তাঁর কাছেই! রহস্যটা কী? ফের টাকার খেলা? না কি ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে পাওলো কোহেলোর ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’ বই থেকে যে সংলাপ আওড়েছিলেন শাহরুখ, সেটাই সত্যি? এতটাই ব্যগ্র হয়ে যে জিনিসটা বহুদিন ধরে চেয়ে এসেছেন তিনি, সারা পৃথিবী সবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সেটাই তুলে দিল তাঁর হাতে? কে জানে! সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন