পুরুষের শয্যাসঙ্গী হতে পাগল ছিলেন মৌসুমী

ফয়সাল কবির
ফয়সাল কবির - ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
3 মিনিটে পড়ুন

সাময়িকী.কম

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী খুন 

Moushumi 06 05 2016 samoyiki পুরুষের শয্যাসঙ্গী হতে পাগল ছিলেন মৌসুমী
স্বামী-সন্তান থাকার পরও একের পর এক পুরুষের শয্যাসঙ্গী হতে রীতিমতো পাগল ছিলেন মৌসুমী। অবাধ মেলামেশা অনেকটা নেশায় মত্ত ছিলেন। নতুন কারও সঙ্গে পরিচয় হলে অল্প দিনের মধ্যেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। অসংখ্য প্রেমিকের মধ্যে বিছানাসঙ্গী করেছিলেন নিজের দুলাভাইকেও। অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে লংড্রাইভে যেতে দ্বিধা করতেন না। 

স্ত্রী দিনের পর দিন প্রেমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন তার কিছুই যেন জানতেন না ব্যবসায়ী স্বামী জামিল আহমেদ। কিন্তু যখন জানলেন তখন তার সামনে জমদূত স্ত্রী হাজির। অবাধ মেলামেশায় বাধা মনে করে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করেন মৌসুমী। শেষ পর্যন্ত জামিলকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোন সাহিদা পারভীন বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। 

পুলিশের তদন্তে জামিল হত্যার চাঞ্চল্যকর কাহিনী বেরিয়ে এসেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মৌসুমী তার স্বামী খুনের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনা শুনে আঁতকে উঠেছে পুলিশও। ব্যবসায়ী জামিলের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সুখেই ছিলেন। যখন জানতে পারেন স্ত্রী মৌসুমী তার দুলাভাই জুয়েলের সঙ্গে পরকীয়ায় মত্ত তখন মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। কলহের সৃষ্টি হয় সংসারে। অন্যদিকে পরকীয়ায় বাধা দূর করতে ছয় মাস আগেই জামিলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। স্বামী হত্যার এই মিশনে মৌসুমী ও তার ভগ্নিপতি জুয়েলসহ তিনজন অংশ নেয়। ঘটনার পর থেকে মৌসুমীর ভগ্নিপতি জুয়েল, ভাই ইব্রাহিম ও বাবা ইরফান পলাতক রয়েছে।  

চকবাজারে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় মৌসুমী বলেন, ১ মে সন্ধ্যায় ঘুমের ওষুধ দিয়ে যায় জুয়েল। পরিকল্পনামতো রান্না করা গরুর মাংসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তা খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধ পান করতেন জামিল। দুধেও মেশানো হয় ঘুমের ওষুধ। একইভাবে তা জামিলকে পান করতে দেয় মৌসুমী। গভীর রাতে ফোনে কথা হয় মৌসুমী-জুয়েলের। চকবাজারের ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ওই বাসায় যায় জুয়েল ও তার একসঙ্গী। দরজা খুলে দেয় মৌসুমী নিজেই। জুয়েল ও ওই সঙ্গীর হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, প্লাস্টিকের বস্তা ও দড়ি। হত্যা ও হত্যার পর লাশ সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে তারা এসেছিল। ঘুমের মধ্যেই মুখ চেপে ধরা হয় জামিলের। ঘুম ভেঙে যায় তার। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিন্তু বিছানা থেকে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়নি জামিলকে। ওঠার চেষ্টা করতেই তাকে বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। জামিল চিত্কার করার চেষ্টা করলে মুখে স্কসটেপ লাগিয়ে দেয় মৌসুমী। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয় গলা। কিলিং মিশন শেষ করতে ভোর হয়ে যায়। 

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
অনুসরণ করুন:
কর্মজীবী এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!