সাময়িকী.কম
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম চলাকালে কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। শিক্ষকরা তার নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে এমন পুরোনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ থেকে জানা যায়, অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান স্কুল সময়ের আগে বা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করাতে পারবেন। এজন্য রশিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফি নিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দশজন শিক্ষার্থীকে পড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে।
এই নীতিমালা অমান্য করলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা স্থগিতসহ বরখাস্ত করারও বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙেও দিতে পারবে মন্ত্রণালয়। আর সরকারি স্কুলে কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক গ্রহণ করা হবে।
মাউশি অধিদফতরের সহকারি পরিচালক (মাধ্যমিক-১) সাখায়েত হোসেন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘২০১২ সালের ২০ জুন সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ জারি করে। এ নীতিমালা অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে নীতিমালার আলোকে মাউশির সকল অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি মনিটরিং করারও অনুরোধ করা হলো।’
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনেও কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কড়া বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং সেন্টার বন্ধে নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কেউ না মানলে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের বিধান রাখা হয়েছে।
জানা যায়,২০১২ সালে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা করার পর এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুটা কড়াকড়ি দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে এই নীতিমালার ধার ধারছে না শিক্ষকরা। ইচ্ছেমতো কোচিং ও প্রাইভেট পড়াচ্ছেন তারা।