সাময়িকী.কম
রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে সিএমএম আদালতের হাকিম লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এ্যানি ওই আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানান। পরে শুনানি শেষে আদালত বিল্লালকে চার দিন ও রহমত আলীকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
১৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার ‘ইব্রাহীম হোটেল’ থেকে বিল্লাল ও মহাখালী এলাকা থেকে রহমতকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর ‘রেইনট্রি’ হোটেলে পূর্বপরিচিত ‘আপন জুয়েলার্সের’ কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এ ঘটনায় গত ৬ মে বনানী থানায় করা মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়। সাফাত ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ এবং সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।
গত ১১ মে সিলেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতারের পর ১২ মে সাফাত ও সাদমানকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সাদমান ‘পিকাসো রেস্তোরাঁর’ অন্যতম মালিক ও ‘রেগনাম গ্রুপের’ কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। অন্য তিনজন ছিলেন সহায়তাকারী। সাফাতের বন্ধু নাঈম ও গাড়িচালক বিল্লাল করেছিলেন ঘটনার ভিডিও।
এই ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে নাঈম আশরাফ বা হাসান মোহাম্মদ হালিম এখনও পলাতক।
বনানীতে ছাত্রী ধর্ষণ: সাফাতের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী রিমান্ডে
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কর্মজীবী এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন