ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে সিনাগগের বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহতের ঘটনায় উত্তেজনার মাত্রা আরও ছড়িয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির মধ্যে। শুক্রবারের এ ঘটনা ইসরায়েলিদের আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া সহজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) পূর্ব জেরুজালেমের একটি উপাসনালয়ের বাইরে অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এক ব্যক্তি। নিহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১০ জন। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই বন্দুকধারী নিহত হন। ৭ ইসরায়েলি নিহতে দাঁতভাঙা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলেন, যেভাবেই হোক না কেন এই হামলার প্রতিশোধ নেয়া হবে।
এ ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে তেল আবিব। পূর্ব জেরুজালেমে হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শনিবার গভীর রাতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য বন্দুক রাখার অনুমতি এবং অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। সন্দেহভাজনদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়ার আগে সিল করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, হামলাকারীদের পরিবারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাও বাতিল হবে।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য আরও ব্যাটালিয়ন পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু আসলে তার মন্ত্রিসভার কট্টরপন্থীদের চাপে ছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরও ছিলেন। গত বছরের শেষ দিকে জোট সরকার গঠন করে নেতানিয়াহু।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নতুন নিয়মের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে বড় ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
গত (২৬ জানুয়ারি) দখলকৃত পশ্চিম তীরে জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহতের পর ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়ে গাজার সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা