সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে দেশ দুটির সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটি বলছে, এই ধরনের পদক্ষেপ হবে ‘অর্থহীন।’ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু নিজ দেশের এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
সুইডেনে নিযুক্ত তুরস্কের দূতাবাসের কাছে কোরআন পোড়ানো ও বিক্ষোভের ঘটনায় পূর্বনির্ধারিত ওই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় আঙ্কারা। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেভলুত কাভুসোগলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্টকহোমে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পর আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন অবশ্য বলেছেন, ন্যাটোতে যোগদান ইস্যুতে তার দেশ আঙ্কারার সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু করতে চায়। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, এ ঘটনার পর ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তুরস্কের সমর্থন আশা করা সুইডেনের উচিত হবে না। আপনারা যদি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ও ইসলামের শত্রুদের এত ভালোবাসেন, তাহলে দেশের নিরাপত্তার জন্যও তাদের কাছেই সমর্থন চান।
এরদোয়ানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম। পরে এক লিখিত বিবৃতিতে রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ঠিক কী বলেছেন সেটা তিনি বুঝতে চান। তবে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিকে সম্মান করবে স্টকহোম।