বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন স্বর্ণ আমদানির মাত্রা বাড়িয়েছে। ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে রেকর্ড পরিমাণ স্বর্ণ কেনার পাশাপাশি রাশিয়া থেকেও আমদানির হার বাড়িয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে, একই বছর ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড রেকর্ড পরিমাণ স্বর্ণ রপ্তানি করেছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।
২০২২ সালের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে চীনের সরকার। সেখান থেকেই জানা গেছে এ তথ্য।
স্বর্ণ আমদানিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ ভারত, তারপরই চীনের অবস্থান। বর্তমানে প্রতিদিনই দেশটির ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা বাজারে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা।
সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫২৪ টন স্বর্ণ চীন আমদানি করেছে, তা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক বাজারে এই পরিমাণ স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
একই বছর রাশিয়া থেকেও স্বর্ণ আমাদানির পরমাণ ৬৭ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
আন্তর্জাতিক স্বর্ণের বাজার সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম কিটো নিউজকে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুদ্রাবাজারে ডলারের মান ওঠানামা করায় ২০১৯ সাল থেকে স্বর্ণ মজুতের ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে আছে মোট ২ হাজার ১০ টন স্বর্ণ। তার মধ্যে গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনেছে ৩০ টন স্বর্ণ।
এদিকে, চীন যেমন নিজেদের স্বর্ণের মজুত বাড়াচ্ছে— তেমনি স্বর্ণ রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা কিটো নিউজকে বলেছেন, ২০২২ সালে চীন ছাড়াও তুরস্ক, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে রেকর্ড পরিমাণ স্বর্ণ রপ্তানি করেছে সুইজারল্যান্ড। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর তুরস্কে ১৮৮ টন, সিঙ্গাপুরে ৬৯ টন এবং থাইল্যান্ডে ৯২ টন স্বর্ণ রপ্তানি করেছে দেশটি। এই তিনটি দেশে রপ্তানির হার ২০১২ সালের পর গত বছর ছিল সর্বোচ্চ।
তবে আন্তর্জাতিক স্বর্ণের বাজারের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদেশ ভারতে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে সুইজারল্যান্ডের। গত বছর ভারতে ২২৪ টন স্বর্ণ রপ্তানি করেছে দেশটি। তার আগের বছর, ২০২১ সালে এই হার ছিল ৫০৭ টন।