জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনে লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোর কাছে থাকা এ ট্যাংকও কিয়েভে পাঠানোর অনুমতি দেবে দেশটি। খবর বিবিসির।
লিওপার্ড-২ ট্যাংক জার্মানিতে তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে এ ট্যাংক কিনেছে আরও অনেক দেশ। তবে যেসব দেশের কাছে লিওপার্ড-২ আছে তারা যদি তৃতীয় কোনো দেশে এটি পাঠাতে চায় তাহলে জার্মানির অনুমতি লাগবে।
কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, এ আশঙ্কা থেকে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল বার্লিন।
তবে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপের পর এখন ইউক্রেনে আপাতত ১৪টি লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাতে রাজি হয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
জার্মানির আগে পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তারাও ১৪টি লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাবে। এর আগে যুক্তরাজ্য ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এছাড়া মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে ট্যাংক দেবে। বুধবারের মধ্যেই এম১ আব্রাহাম ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইম জানিয়েছে, ইউক্রেনে ৩০ থেকে ৫০টি আব্রাহাম ট্যাংক পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস জানিয়েছে, ইউরোপের অন্তত ১৬টি দেশের কাছে লিওপার্ড ট্যাংক আছে। এই ১৬টি দেশের সবগুলো যে ইউক্রেন ট্যাংক পাঠাবে এমনটি নয়। তবে জার্মান চ্যান্সেলর যেহেতু অনুমতি দিতে যাচ্ছেন, ফলে ওই দেশগুলো ইচ্ছে করলে কিয়েভকে এই ভারী যান দিতে পারবে।
এদিকে ইউক্রেন পশ্চিমাদের কাছে অন্তত ৩০০টি ট্যাংক চেয়ে আসছে। যদিও এতগুলো পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যেসব দেশের কাছে ট্যাংক আছে সেসব দেশ যদি ১২টি করেও ট্যাংক পাঠায় তাও এটি ১০০ ছাঁড়িয়ে যাবে। যা রাশিয়ানদের প্রতিহত করতে ইউক্রেনীয়দের জন্য অনেক বেশি সহায়ক হবে।
তবে ইউক্রেন ট্যাংক পেলে যুদ্ধের মোড় রাতারাতি ঘুরে যাবে এমনটিও বলা যাবে না। বর্তমানে আকাশ শক্তিতে ইউক্রেনের চেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া। যেগুলো ব্যবহার করে প্রায়ই ইউক্রেনে বড় হামলা চালাচ্ছে দেশটি। ফলে রাশিয়ার আকাশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনেরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধের শুরু থেকে বিমান চেয়ে আসছে কিয়েভ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশ বিমান দিতে রাজি হয়নি।
সূত্র: বিবিসি