রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ১৮ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। টানা ১১ মাসের এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭ হাজার ৩১ জন। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে এ তথ্য। খবর আনন্দবাজার
মানবাধিকার কমিশন বলছে, ইউক্রেনের মারিউপোল (ডোনেৎস্ক অঞ্চল), ইজ়িয়ম (খারকিভ অঞ্চল), লাইসিচান্স্ক, পোপ্সনা এবং সিভিয়েরোডোনেতস্ক (লুহানস্ক অঞ্চল) থেকে এখনও পুরো তথ্য আসেনি। ওই অঞ্চলগুলো থেকে বহু বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের খবর এসেছে। এর ফলে মোট হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের অসংখ্য সেনা ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ওয়াগনার দাবি করে, তাদের সেনারা ডনবাসের সোলদার শহর দখল করেছে। এখন তাদের লক্ষ্য পাশের শহর বাখমুত।
ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াগনার গ্রুপের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপ নিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে ইউক্রেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ওয়াগনার সেনারা খুবই ভয়ঙ্কর। এমনকি অনেক সেনা হতাহত হলেও তারা অবিচল থাকে। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক হাজার সেনার মৃত্যু রাশিয়ার কাছে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না।’
ওয়াগনার সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের হামলাকারী দল কমান্ডারের নির্দেশ ছাড়া কখনো পিছপা হয় না। অনুমতি ছাড়া বা আহত হওয়া ছাড়া যুদ্ধের ময়দান ছাড়লে তাৎক্ষণিক গুলি করে হত্যার শাস্তির বিধান রয়েছে তাদের।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন। এরপরেই রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর ধারাবাহিকভাবে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়েছে রুশ সেনারা। পুতিনের বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যার অভিযোগও।