তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদের অনুমোদন দেবে, এমন আশা যেন তারা না করে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে গত শনিবার বিক্ষোভের আয়োজন করে কিছু উগ্রবাদী। এর মধ্যে একজন পবিত্র কোরআন পোড়ায়। এ বিষয়টি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার্কিস প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রীসভার বৈঠকে এরদোয়ান বলেছেন, ‘ন্যাটোর জন্য সুইডেন যেন আমাদের সমর্থন প্রত্যাশা না করে।’
‘এটি পরিষ্কার যে, যারা আমাদের দেশের দূতাবাসের সামনে এ ধরনের হীন কাজ করতে পারে, তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাবে না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আপনারা সন্ত্রাসীদের আমাদের দূতাবাসের সামনে যা খুশি তা করতে দেবেন। এরপর ন্যাটোতে আমাদের সমর্থন প্রত্যাশা করবেন। তা হবে না।’
তার্কিস প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘যদি সুইডেন তুরস্ক এবং মুসলিমদের প্রতি কোনো সম্মান না জানায়, তাহলে ন্যাটো বিষয়ক কোনো ইস্যুতে আমাদের সহায়তা পাবে না।’
পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে এরদোয়ানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে কিছু কুর্দি বিক্ষোভকারী।
এদিকে গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন করে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। তুরস্ক যেহেতু ন্যাটোর সদস্য। তাই এই জোটে ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে যোগ দিতে অবশ্যই তুরস্কের অনুমোদন লাগবে।
তুরস্কের দূতাবাসের সামনে যেন কোনো ধরনের বিক্ষোভ আয়োজন করতে না দেওয়া হয়, সেজন্য সুইডেনের কাছে বার বার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তার্কিস মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেনি সুইডেন।
যদিও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোবিয়াস বিলসস্ট্রোম ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর বলেন, ‘সুইডেনের রয়েছে সুদূরপ্রসারী বাকস্বাধীনতা। কিন্তু এটি বোঝায় না সুইডেনের সরকার এবং আমি এ ঘটনাকে সমর্থন করি।’
সূত্র: বিবিসি