মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। গণকবরটিতে ৪৯ জন বোসামরিক মানুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহান্তে সেখানে গ্রামবাসীদের সঙ্গে চরমপন্থি গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল।
মূলত স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর ধারাবাহিক হামলার পর কঙ্গোতে কর্মরত শান্তিরক্ষীরা এই গণকবর খুঁজে পায়। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বুধবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, কঙ্গোর বুনিয়া শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পূর্বে উত্তর-পূর্ব ইতুরি প্রদেশের দু’টি গ্রামে ওই গণকবর উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়ামাম্বা গ্রামে একটি গণকবরে ছয় শিশুসহ মোট ৪২ জনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। আর এমবোগি নামে অন্য একটি গ্রামের গণকবরে পাওয়া গেছে আরও সাতজন পুরুষের মৃতদেহ।
ফারহান হক বলেন, ‘গত সপ্তাহান্তে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কোডেকো মিলিশিয়াদের হামলার খবর পাওয়ার পরপরই শান্তিরক্ষীরা ওই এলাকায় টহল শুরু করে। আর এরপরই তারা সেখানে ভয়ঙ্কর গণকবর আবিষ্কার করে।’
বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার জন্য তিনি কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব কঙ্গো নামে পরিচিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করে একথা বলেন। ফারহান হক আরও বলেন, জাতিসংঘ এই ঘটনায় তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে। আর সেটি হলেই গণকবর এবং হামলার মধ্যে যোগসূত্র ছিল কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে।
তিনি বলেন, মনুজকো নামে পরিচিত জাতিসংঘের আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা মিশন ‘এই আক্রমণের তদন্তের জন্য কঙ্গোলিজ বিচার ব্যবস্থাকে সহায়তা করছে’ এবং ‘অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার’ আহ্বান জানিয়েছে।
কঙ্গোর উত্তরে উগান্ডা সীমান্তের কাছেই অবস্থিত ইতুরি প্রদেশ। উত্তর কঙ্গোর এই অঞ্চলটি বরাবরই উত্তেজনাপ্রবণ। সেখানে একাধিক চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখানে সক্রিয়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কঙ্গোতে সংঘর্ষ অনেক বেড়েছে। গত দেড় মাসে সেখানে মোট নিহত হয়েছেন ১৯৫ জন। শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতেও কীভাবে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।