বাংলাদেশে বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ “পাল্টা কর্মসূচি” দিয়ে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি একই দিনে আওয়ামী লীগকে এ ধরনের “পাল্টা কর্মসূচি” না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির সব দায় আওয়ামী লীগ ও তার সরকারকেই বহন করতে হবে।”
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। সেটি তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে “উসকানি” মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে উসকানি দিয়ে একটা ট্র্যাপের মধ্যে ফেলা এবং যাতে করে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিএনপি অত্যন্ত সচেতনভাবে সেই পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, তার জন্য অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে আসছে।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা যখন এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন শুরু করি, তার প্রথম থেকেই একটা জিনিস লক্ষ করেছি, আমাদের প্রতিটি আন্দোলনের দিনে আওয়ামী লীগ একটা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। সেই কর্মসূচি দেওয়ার সময়ে তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, এই ভাষাগুলো সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক, সন্ত্রাসী ভাষা।”
গত জুলাই মাস থেকে বিএনপি সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি শুরু করেছে। সেটির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দলের ১৫ জন নেতা-কর্মী পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নির্যাতনে মারা গেছেন। অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত চার বছরে ১ হাজার ২০৯টি মামলা হয়েছে। বিএনপি মনে করে, এই চরম নিবর্তনমূলক আইনের মাধ্যমে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তি, সংবাদকর্মী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের ওপর চরম আঘাত করা হচ্ছে ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।”